স্বদেশ ডেস্ক: চাঁদপুরের কৃষক মোহাম্মদ লোকমান মিয়া তার জমিতে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করে ১২ মাস জুুড়ে কাতলা আকারের (চেপটা) শিম চাষ করেছেন। এতে অধিক পরিমাণে মুনাফা পেয়ে এখন তিনি একজন স্বাবলম্বী কৃষক। এ তথ্য লোকমান মিয়া ও এলাকাবাসী জানিয়েছেন। তিনি জানান, এক সময় তার তেমন কিছু না থাকলেও এখন অনেক অর্থ ও বিত্তের মালিক। চাঁদপুর জেলার হাজীগঞ্জ উপজেলার বাকিলা ইউনিয়নের চতন্তর গ্রামে বছরজুড়ে শিম চাষ করেন লোকমান তার উর্বর জমিতে। তিনি জানান, তিন বছর আগে এ শিম চাষ পরীক্ষামূলকভাবে শুরু করেন। শিম চাষ করে যখন অনেক লাভবান হন, তারপর থেকে তিনি জমির পরিমাণ বাড়িয়ে এ চাষ করতে থাকেন। তিনি জানান, তিন বছর আগে বেড়াতে যান পাবনায় এক আত্মীয়ের বাড়িতে। সেখানে ১২ মাস শিম চাষ দেখে তিনি উৎসাহিত হন।
বর্তমানে তার ৩০ শতাংশ জমিতে শিমের আবাদ করছেন। তিন বছরে এলাকায় অনেক জমি ক্রয় করে তিনি এখন পুরোপুরি স্বাবলম্বী। চতন্তর গ্রামে চাঁদপুর-কুমিল্লা আঞ্চলিক মহাসড়কের দক্ষিণ পাশে দেখা যায়, জমিতে শত শত শিমের ফুল ফুটে আছে। লোকমান মিয়া জানান, তিনি বেশ কয়েক বছর সৌদি আরবে কর্মসংস্থানের জন্য গিয়ে কৃষিকাজ করেন। তবে সেখানে শিম চাষ করেননি। তার বোনের বাড়ি পাবনায় গিয়ে তাদের ১২ মাসই শিম চাষ করতে দেখেন। এরপর তিনি চাঁদপুর এসে নিজ জমিতে শিমের আবাদ শুরু একরেন। তিনি জানান, ২০১৬ সালে এ জমিতে প্রথমে শিমের আবাদ শুরু করেন। তার এ জমিতে নিজের পরিশ্রম ছাড়া আবাদ করতে খরচ হয়েছে প্রায় ২৫ হাজার টাকা। প্রথমবার শিম বিক্রি করার পর গাছগুলো আর না কেটে পরিচর্যা শুরু করেন। ২০১৯ সালের শুরুতে এ জমিতে চাষ করা শিম বিক্রি করে প্রায় ১ লাখ টাকা উপার্জন করেন বলে জানান তিনি। এসব শিম ঢাকার বাজারে বিক্রি করেছেন বলেও জানান। এখন আবারও সে শিমগাছে ফুল আর ফল দিতে শুরু করেছে। তবে সমস্যা হচ্ছে পোকার আক্রমণ। বাজার থেকে কয়েকবার কীটনাশক এনে ব্যবহার করলেও পোকার আক্রমণ থেকে রক্ষা পাচ্ছেন না।