স্বদেশ ডেস্ক:
ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে চিত্রনায়িকা পরীমনির দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার নাসির উদ্দিন মাহমুদের মুক্তি দাবি করেছেন জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য গোলাম কিবরিয়া টিপু। আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে দাঁড়িয়ে নাসির উদ্দিনকে ওই অভিযোগ থেকে তাকে অব্যাহতি দেওয়ার দাবি করেন তিনি।
আবাসন ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত নাসির উদ্দিন মাহমুদ জাতীয় পার্টির সভাপতিমণ্ডলীর অন্যতম সদস্য। উত্তরা ক্লাবের এই সাবেক সভাপতি ঢাকা বোট ক্লাবের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ছিলেন। পরীমনির মামলায় গ্রেপ্তার হওয়ার পর তাকে বোট ক্লাব থেকে বহিষ্কার করা হয়।
জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাংসদ টিপু সংসদ অধিবেশনে বলেন, ‘গত কয়েকদিন ধরে একজন চিত্রনায়িকা ও আমাদের প্রেসিডিয়াম সদস্যকে নিয়ে ঘটনা দেখছি। নাসির উদ্দিনকে আমি প্রায় ৩৫ বছর ধরে চিনি। প্রায় ছাত্র অবস্থা থেকে। সে একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী এবং সরকারকে খাজনা দেয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘ওই ক্লাবে যে নায়িকা গিয়েছিলেন, তারাতো অভিনয় করতে জানেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখলাম তাকে কোলে করে একটা গাড়িতে তোলা হচ্ছে। তাদের এই সমস্ত দিকে লক্ষ্য রেখে আমি সরকারের কাছে আবেদন রাখব, আইন আইনের মতো চলবে। অবিলম্বে নাসির মাহমুদকে যাতে এই ইসের থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। আইন চলবে, তাকে যেন মুক্তি দেওয়া হয়।’
পরীমনির অভিযোগে বলা হয়, গত ৮ জুন উত্তরার কাছের বিরুলিয়ায় ঢাকা বোট ক্লাবে তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন নাসির। তখন তাকে মারধরও করা হয়। এই অভিযোগ অস্বীকার করে নাসির বলেন, ‘ক্লাবে সেদিন পরীমনি জোর করে দামি মদ নিতে গেলে বাধা দিয়েছিলেন তিনি, তাতে এই অভিনেত্রী উত্তেজিত হয়ে তাকে আক্রমণ করেন। পরে নিরাপত্তা রক্ষীরা এসে তাকে বের করে দেয়।’
বিষয়টি নিয়ে গত সোমবার জাতীয় সংসদে বিএনপির এমপি হারুনুর রশীদ দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি তোলেন। পরেরদিন মঙ্গলবার জাতীয় পার্টির জ্যেষ্ঠ সংসদ সদস্য চুন্নুও বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন। আজ বৃহস্পতিবার ক্লাব ও মদ নিয়ে অনির্ধারিত আলোচনায় হঠাৎ কিছু সময়ের জন্য উত্তপ্ত হয়ে ওঠে জাতীয় সংসদ। সকালে বৈঠকের শুরুতে এই অনির্ধারিত আলোচনায় আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি, বিএনপি ও তরিকত ফেডারেশনের পাঁচ সাংসদের বক্তব্যর পরিপ্রেক্ষিতে এ পরিস্থিতি তৈরি হয়।
জাতীয় পার্টির সাংসদ টিপু সংসদে বলেন, ‘আপনারা জানেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখলাম, ওই নায়িকা গুলশানে একটি ক্লাবে কতগুলি চেয়ার ভাঙছে, প্লেট ভাঙছে, পেপার ওয়েট ভাঙছে। ছবিতে দেখলাম সে যত উপরে পা তুলে একজনকে আঘাত করল! বঙ্গ ললনা নারীরা শতকরা ৯৮ জনই এটা করতে পারবে না। এই ব্যাপারটা অত্যন্ত স্পর্শকাতর। সরকারের কাছে আশা করব যাতে ব্যাপারটা ঠিকমত দেখে।’