স্বদেশ ডেস্ক: জামালপুরে টানা বর্ষণ ও উজান হতে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে বাড়ছে যমুনা-ব্রহ্মপুত্রসহ বিভিন্ন নদনদীর পানি। গত ২৪ ঘন্টায় যমুনার পানি বাহাদুরাবাদ ঘাট পয়েন্টে ৫০ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদ সীমার ৮১ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে বন্যা পরিস্থিতি অবনতি হয়েছে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। পানি বাড়তে থাকায় প্লাবিত হয়েছে জেলার ইসলামপুর, দেওয়ানগঞ্জ, মাদারগঞ্জ ও সরিষাবাড়ি উপজেলার যমুনা তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলের ১৭ টি ইউনিয়ন। ইসলামপুর উপজেলার চিনাডুলী, নোয়ারপাড়া, বেলগাছা, কুলকান্দি, পাথশী, ইসলাপুর সদর, সাপধরী, দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার চুকাইবাড়ী, চিকাজানী, দেওয়ানগঞ্জ সদর, চরআমখাওয়া ও বাহাদুরাবাদ, মেলান্দহ উপজেলার মাহমুদপুর, ঘোষেরপাড়া, ঝাউগড়া, দুরমুট ও মাদারগঞ্জ উপজেলার বালিজুড়ী ও চরপাকেরদহ ইউনিয়নের বেশিরভাগ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এছাড়াও বকশীগঞ্জ উপজেলায় ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বেড়ে কিছু নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দী হয়েছে এসব এলাকার অন্তত ৫০ হাজার মানুষ। যমুনার তীব্র ¯্রােতে ইসলামপুরের চিনাডুলি ইউনিয়নের ৩টি সংযোগ সড়কবাঁধ ভেঙে বন্ধ হয়ে গেছে ইসলামপুর-আমতলী-চিনাডুুলি সড়ক যোগাযোগ। বন্যার কারণে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে জেলার ১৩টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। বন্যা কবলিত এলাকার প্রতিটি ইউনিয়নে একটি করে মেডিকেল টিম গঠন করেছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। বন্যা কবলিত এলাকায় শুকনো খাবার, বিশুদ্ধ পানি ও গো-খাদ্যের সংকট দেখা দিয়েছে।
জামালপুরের জেলা প্রশাসক (ভারপ্রাপ্ত) জানান, ইসলামপুর ও দেওয়ানগঞ্জ উপজেলায় বন্যা ক্ষতিগ্রস্থ বেশি। এ পর্যন্ত আমাদের হিসেবে সাড়ে ১৩ হাজার পরিবার ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন। গত ১৩ জুলাই ৯০ মেট্রিকটন চাল নগদ ২ লাখ টাকা ও ২ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।