স্বদেশ ড্কে:
রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শ্বাসকষ্ট বেড়ে যাওয়ায় তাকে সিসিইউতে স্থানান্তর করা হয়েছিল। তবে বর্তমানে তার শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিক আছে বলে জানা গেছে। তাকে এখন আর অক্সিজেন মাস্কের মাধ্যমে আলাদা অক্সিজেন দিতে হচ্ছে না।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে বিএনপি চেয়ারপারসনের চিকিৎসক টিমের একটি সূত্র এ কথা জানিয়েছে। আরও জানা গেছে, বিএনপি নেত্রীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা-নিরীক্ষার সব রিপোর্ট নিয়ে ১০ সদস্যের মেডিকেল বোর্ডের দুপুরে বসতে পারে।
এর আগে গতকাল সোমবার দুপুর ২টার দিকে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে এভারকেয়ার হাসপাতালের কেবিন থেকে সিসিইউতে (করোনারি কেয়ার ইউনিট) স্থানান্তর করা হয়। পরে সন্ধ্যায় রাজধানীর তিনশ ফিট এলাকায় তার শারীরিক সর্বশেষ অবস্থা জানিয়ে সাংবাদিকদের সামনে কথা বলেন তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক দলের সদস্য অধ্যাপক এ জেড এম জাহিদ হোসেন।
জাহিদ জানান, অধ্যাপক ডা. শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে ১০ সদস্যের একটি মেডিকেল বোর্ড উনার চিকিৎসা করছেন। উনার চিকিৎসা যথাযথভাবেই চলছে। গতকাল ভোরের দিকে উনি একটু শ্বাসকষ্ট অনুভব করেন। পরে চিকিৎসকদের সম্মিলিত সিদ্ধান্তেই করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) চিকিৎসা নেন খালেদা জিয়া।
বিএনপি চেয়ারপারসন স্বাভাবিকভাবে শ্বাস নিচ্ছেন বলেও জানান অধ্যাপক এ জেড এম জাহিদ হোসেন। কী কারণে শ্বাসকষ্ট হলো- এমন প্রশ্নের জবাবে অধ্যাপক এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, ‘মানুষের যেকোনো সময়ে যেকোনো পরিস্থিতিতে শ্বাসকষ্ট হতে পারে। উনার পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে এবং সেগুলো এখানকার চিকিৎসকরা কালেকটিভলি করছেন।’
গত ২৭ এপ্রিল খালেদা জিয়াকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য বসুন্ধরায় এভার কেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে সিটি স্ক্যান (চেস্ট), হৃদযন্ত্রের কয়েকটি পরীক্ষা করা হয়। খালেদা জিয়া পায়ের ব্যথাতেও ভুগছেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে। ফলে অন্যের সাহায্য ছাড়া চলাফেরা করতে পারেন না তিনি।
গত ১১ এপ্রিল খালেদা জিয়ার করোনা শনাক্ত হয়। এরপর থেকে গুলশানের বাসা ফিরোজা’য় তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক এফএম সিদ্দিকীরে নেতৃত্বে চিকিৎসা শুরু হয়। করোনা আক্রান্তের ১৪ দিন পার হওয়ার পর নমুনা পরীক্ষা করা হলে পুনরায় ফল পজিটিভ আসে।
গত বছর ২৫ মার্চ সরকারের নির্বাহী আদেশে দুই মামলায় দণ্ডিত খালেদা জিয়াকে সাময়িকভাবে মুক্তি দেয় সরকার। এরপর আরও দুই দফা তার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হয়। কারাগার থেকে মুক্তির পর তিনি গুলশানে নিজের ভাড়া বাসা ফিরোজায় থেকে ব্যক্তিগত চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। করোনায় আক্রান্ত হওয়ার তাকে বাসা থেকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়।