স্বদেশ ডেস্ক:
হেফাজতে ইসলাম আরেকটি ‘বদরযুদ্ধের’ ডাক দিয়েছিল বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) যুগ্ম কমিশনার মাহবুব আলম। তিনি বলেন, আরেকটি শাপলা চত্বর তৈরির চেষ্টা করেছিল তারা। বদরের যুদ্ধ হয়েছিল রমজান মাসে। সরকার পতনের জন্য আরেকটি বদরের যুদ্ধের ডাক দিয়েছিল। ঢাকা শহর কলাপস করার পরিকল্পনা ছিল তাদের। ২৬ মার্চে শুরু হওয়া সহিংসতা রমজান পর্যন্ত টেনে আনার পরিকল্পনা ছিল। গ্রেপ্তার নেতাদের জিজ্ঞাসাবাদে এমন তথ্য পাওয়ার দাবি করছে ডিবি।
গতকাল দুপুরে ডিবি কার্যালয়ে এসে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য তুলে ধরে মাহবুব আলম বলেন, চলতি রমজানেই দেশে একটি অরাজক পরিস্থিতি তৈরির নীলনকশায় মেতেছিলেন হেফাজতের নেতারা। দেশ-বিদেশ থেকে মাদ্রাসায় আসা অনুদানের টাকা সাম্প্রতিক সহিংসতায় খরচ করা হয়েছিল। আর এটা নিয়ন্ত্রণ করতেন মূলত মামুনুল-হাবিবী। তিনি আরও বলেন, মাদ্রাসার অনুদানের টাকা ঢাকা, চট্টগ্রাম ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় খরচ করার তথ্য পাওয়া গেছে। এমনকি মোহাম্মদপুরে মামুনুল হকের মাদ্রাসায় এক বছরে ১০-১২ কোটি টাকা আয় হয়েছে; কিন্তু কোথায় কোথায় ব্যয় হয়েছে তার কোনো হিসাব তাদের কাছে নেই। অর্থাৎ তারা মাদ্রাসার টাকা
রাজনৈতিক দলের কাজে ব্যবহার করতেন। তিনি বলেন, সারাদেশের বিভিন্ন কওমি মাদ্রাসায় যা আয় হতো, তার বেশিরভাগই রাজনৈতিক কাজে ব্যবহার করতেন হেফাজত নেতারা। হেফাজত একটি অরাজনৈতিক সংগঠন; কিন্তু এর নেতারা কোনো না কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত। হেফাজতের কার্যক্রমের আড়ালে তারা তাদের রাজনৈতিক দলের কাজ করে আসছিলেন। তাবলিগ জামাতকে দুই ভাগ করার নেপথ্যেও তাদের হাত ছিল বলে জিজ্ঞাসাবাদে রিমান্ডে থাকা নেতারা পুলিশকে জানিয়েছে।
গত ২৬ মার্চ বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সফরের বিরোধিতা করে তা-ব চালায় হেফাজতের নেতাকর্মীরা। তা-ব ছড়িয়ে পড়ে কয়েকটি জেলায়। এ ঘটনায় হওয়া মামলায় এখন পর্যন্ত ৩০ জনের বেশি হেফাজতের সদ্য বিলুপ্ত কমিটির গুরুত্বপূর্ণ নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদে সহিংসতার মূল কারণ পেয়েছে ডিবি।