স্পোর্টস ডেস্ক:
প্রথম দিনে বোলাররা ছিলেন নিষ্প্রাণ। তবে পাল্লেকেলের দ্বিতীয় দিনে বাংলাদেশের বোলারদের ভয়ংকররূপ দেখেছে লঙ্কান ব্যাটসম্যানরা। আলো স্বল্পতায় আগে আগেই শেষ হয়েছে দ্বিতীয় দিনের খেলা। না হলে আজই অল আউট হয়ে যেতে পারত শ্রীলঙ্কা। ২৪.১ ওভার বাকি থাকতে শেষ হয়ে দিনের খেলা। তাতে শ্রীলঙ্কার সংগ্রহ ৬ উইকেটে ৪৬৯ রান।
১ উইকেটে ২৯১ রান তুলে প্রথম দিন শেষ করা শ্রীলঙ্কা মাঠে নামে শুক্রবার। ১৫ রানের মধ্যে ৩টি উইকেট হারায় দলটি। ৬ রানের ব্যবধানে লাহিরু থিরিমান্নে ও অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুসকে ফিরিয়ে দেন তাসকিন। এর কিছুক্ষণ পর স্পিন ভেল্কি দেখান তাইজুল। দারুণ এক ডেলিভারিতে বাঁহাতি এই স্পিনার ফেরান ধনঞ্জয়া ডি সিলভাকে।
লাহিরু থিরিমান্নেকে ফিরিয়ে শুরু তাসকিনের। যদিও এই আউটে তাসকিনের সাফল্যের চেয়ে থিরিমান্নের ভুলই বেশি। লেগ স্টাম্পের বাইরের একটি শর্ট ডেলিভারিতে ব্যাট চালিয়ে লিটন দাসের হাতে ধরা পড়েন বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান। এর আগে ২৯৮ বলে ১৫টি চারে ১৪০ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেন থিরিমান্নে।
আউট হওয়ার আগে ওশাদা ফার্নান্দোর সাথে ১০৪ রানের জুটি গড়েন লঙ্কান ওপেনার। তার বিদায়ে উইকেটে যান অভিজ্ঞ অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস। থিরিমান্নের আউট হওয়ার ওভারেই ফিরতে পারতেন তিনি। কিন্তু তাসকিনের করা তৃতীয় ডেলিভারিটি ম্যাথুসের ব্যাট ছুঁয়ে লিটনের হাতে জমা হলেও কেউ আবেদন করেননি।
শুরুতেই বেঁচে যাওয়া ম্যাথুসের পথ অবশ্য দীর্ঘ হতে দেননি তাসকিন। কিছুক্ষণ পরই অনেকটা একই রকম ডেলিভারিতে ম্যাথুসকে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিতে বাধ্য করেন বাংলাদেশ পেসার। তার দারুণ বোলিংয়ে বদলে যায় বাংলাদেশের ফিল্ডিংয়ের অবস্থান।
এরপর সাজঘরে ফেরেন আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা। ব্যক্তিগত দুই রানে তাইজুলের বলে শান্তর হাতে ক্যাচ দেন তিনি। শ্রীলঙ্কার দলীয় রান তখন ৩২৮ রান।
এরপর আবার দৃশ্যপটে পেসার তাসকিন। দারুণ এক ইনসুইঙ্গারে বোল্ড করেন পাথুম নিশাঙ্কাকে। ৮৪ বলে ৩০ রানে সাজঘরে ফেরেন নিশাঙ্কা। সেঞ্চুরির স্বপ্ন দেখতে থাকা ওয়ান ডাউনে নামা ওশাদা ফার্নান্দোকে বিদায় করেন স্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজ। ফার্নান্দো ক্যাচ দেন উইকেটের পেছনে লিটনের হাতে।
২২১ বলে ৮১ রান করেন ফার্নান্দো। তার ইনিংসে ছিল আটটি চারের মার। দ্বিতীয় দিন শেষে শ্রীলঙ্কার হয়ে নিরোশান ডিকভেলা ৬৪ রানে ও রমেশ মেন্ডিজ ২২ রানে আছেন অপরাজিত।
বল হাতে বাংলাদেশের হয়ে এদিন দারুণ চমক দেখান পেসার তাসকিন আহমেদ। তিনি নেন তিন উইকেট। সতীর্থরা ক্যাচ মিস না করলেও তাসকিনের উইকেটের সংখ্যা ৫টি হতে পারত। মিরাজ, শরিফুল ও তাইজুল নেন একটি করে উইকেট।