স্বদেশ ডেস্ক:
হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের বিলুপ্ত কমিটির শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক হারুন ইজাহারকে ‘আটক’ করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন তার ব্যক্তিগত সহকারী মোহাম্মদ ওসমান। বুধবার রাতে চট্টগ্রাম নগরীর লালখানবাজার এলাকার জামেয়াতুল উলুম আল ইসলামিয়া মাদরাসা থেকে তাকে আটক করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-৭)। এ দাবি করা হলেও বাহিনী থেকে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
হারুন ইজহার ২০ দলীয় জোটভুক্ত ইসলামী ঐক্যজোটের একাংশের সভাপতি ও হেফাজতের বিলুপ্ত কমিটির নায়েবে আমির মুফতি ইজাহারের ছেলে। তার বিরুদ্ধে নাশকতার ১১টি মামলা বিচারাধীন রয়েছে।
মোহাম্মদ ওসমান সাংবাদিকদের জানান, বুধবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে নগরের লালখান বাজার মাদরাসা থেকে র্যাব-৭ তাকে আটক করে। হেফাজতে ইসলামের আহ্বায়ক জুনায়েদ বাবুনগরী ব্যক্তিগত সহকারী ইনামুল হাসান ফারুকীও তার ফেসবুকে দেওয়া স্ট্যাটাসে হারুন ইজাহারকে আটকের বিষয়টি জানিয়েছেন।
এদিকে, হারুন ইজাহারকে আটক করা হয়েছে দাবি করা হলেও বিষয়টি নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানায়নি র্যাব।
সর্বশেষ ২০১৫ সালে দুই দফা আটক হয়েছিলেন হারুন ইজহার। ২০১৩ সালের ৭ অক্টোবর তার পরিচালিত লালখান বাজারের জামেয়াতুল উলুম আল ইসলামিয়া মাদরাসায় হ্যান্ড গ্রেনেড বানাতে গিয়ে বিস্ফোরণে মারা যান তিনজন। এরপর সেখানে তল্লাশি চালিয়ে চারটি তাজা গ্রেনেড, ১৮ বোতল এসিড ও বিপুল পরিমাণ গ্রেনেড তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করে পুলিশ। ওই সময় গ্রেপ্তার হয়ে দীর্ঘদিন কারাগারে ছিলেন তিনি।
হারুন ইজহারের বিরুদ্ধে হেফাজতে ইসলামের ব্যানারে সহিংসতার ইন্ধন দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। এ ছাড়া বিভিন্ন সময়ে তার বিরুদ্ধে জঙ্গি সংশ্লিষ্টতার অভিযোগও উঠে এসেছে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে।
গত ২৬ মার্চ সহিংসতার ঘটনায় চট্টগ্রামের হাটহাজারীর পটিয়ায় হেফাজতের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে ১০টি মামলা হয়। এতে প্রায় ছয় হাজার জনকে আসামি করা হয়। এ পর্যন্ত গ্রেপ্তার হন প্রায় ৪০ জন নেতা-কর্মী।