শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০৯:৫৪ অপরাহ্ন

বাজার দর: এবার অজুহাত লকডাউনের

বাজার দর: এবার অজুহাত লকডাউনের

স্বদেশ ডেস্ক:

এবার অজুহাত লকডাউনের। অজুহাত পরিবহন ভাড়া বৃদ্ধির। আর এই অজুহাতে আবারো একবার বেড়েছে সবজির দাম। বাজারে এখন আর ৫০ টাকার নিচে কোনো সবজি নেই। পটোল, বেগুন, শিম, ধুন্দল, বরবটি, ঢেঁড়স, লাউ, টমেটোসহ প্রায় সব ধরনের সবজির দাম বেড়েছে। কোনো কোনোটি দাম দ্বিগুণেরও বেশি বেড়েছে।

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় সবজির বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সব সবজির দামই বেড়েছে। টমেটোর দাম দ্বিগুণেরও বেশি বেড়েছে। যে টমেটো পাওয়া যেত ১৫ টাকা কেজি, সেই টমেটো গতকাল বিক্রি হয়েছে ৪০ টাকা কেজি। সজনের ডাঁটার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা। পটোল, বরবটি, বেগুন, ঢেঁড়সের দাম বেড়েছে। পটোলের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ৪০-৫০ টাকা। বরবটি ৬০-৭০ টাকা, ঢেঁড়স ৭০-৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বেগুনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৮০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ৪০ টাকা। লাউয়ের পিস বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ৫০ থেকে ৬০ টাকা। শিম বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়। তাও এখন আর ভালো শিম পাওয়া যাচ্ছে না। প্রতি পিস ফুলকপি-বাঁধাকপি ৩০ থেকে ৫০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। ধুন্দল, চিচিঙ্গা বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়। তবে কোনো কোনো বাজারে ধুন্দলের কেজি ৬০ টাকায়ও বিক্রি হচ্ছে।

বেড়েছে শাকের দামও। কলমিশাকের আঁটিও এখন ১০ টাকার নিচে পাওয়া যাচ্ছে না। পালংশাকের আঁটি বিক্রি হচ্ছে ১০ থেকে ১৫ টাকা। বাজারে নতুন আসা পুঁইশাকের আঁটি এখন ৩০-৪০ টাকা। লাউশাক ২৫-৩০ টাকা। অন্য যেকোনো শাকের আঁটিই এখন ১০ টাকার ওপরে।

রাজধানীর মানিকনগর এলাকার সবজিবিক্রেতা আলাউদ্দিন বলেন, পাইকারি বাজারেই এখন সবজির দাম বেশি। লকডাউনের কারণে গাড়ি ভাড়া বেশি পড়ছে। যে কারণে পণ্যের দামও বেড়েছে। এরপর কাওরান বাজার বা শ্যামবাজার থেকে পণ্য আনার খরচও বেশি পড়ছে। যে কারণে তারা পণ্যের দাম বাড়াতে বাধ্য হয়েছেন।

বেড়েছে পেঁয়াজের দামও। লকডাউনের মধ্যে কেজিতে ৫-১০ টাকা বেড়েছে পেঁয়াজের কেজি। ৩০-৩৫ টাকায় যে পেঁয়াজ পাওয়া যেত সেই পেঁয়াজের দাম এখন ৪০-৪৫ টাকা। তবে আলুর দাম আগের মতোই ২০ টাকা কেজি আছে। কয়েক সপ্তাহ ধরেই আলু একই দামে বিক্রি হচ্ছে।

লকডাউনের শুরুতে ব্রয়লার মুরগির দাম কিছুটা কমলেও এখন তা আবার বেড়েছে। একদিনের ব্যবধানে কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে ব্রয়লার মুরগি আবার আগের দামে বিক্রি হচ্ছে। অপরিবর্তিত রয়েছে পাকিস্তানি কক বা সোনালি ও লাল লেয়ার মুরগির দাম।বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৬৫ টাকা। সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৬০ টাকায়।

শবেবরাতের সময় সেই যে গরুর গোশতের দাম বেড়েছে তা আর কমেনি। বাজারে এখন প্রতি কেজি গরুর গোশত বিক্রি হচ্ছে ৫৮০ টাকায়। মিরাজ নামের এক ক্রেতা গতকাল বলেছেন, গরুর গোশতের দাম নির্ধারণ করা হয়নি বলে দোকানদাররা যার কাছ থেকে যেমন পারছে নিচ্ছে।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877