স্পোর্টস ডেস্ক: ‘ইটস কামিং হোম।’ এ সেøাগানকে ধারণ করে ফিফা ফুটবল বিশ্বকাপ খেলতে রাশিয়ায় গিয়েছিল ইংল্যান্ড। কিন্তু মাত্র এক ম্যাচ আগেই থেমে যায় হ্যারি কেনদের স্বপ্নদৌড়। সেমিফাইনালে ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে হেরে ট্রফি নিয়ে ঘরে যাওয়ার স্বপ্ন অধরা থেকে যায় আরও চার বছরের জন্য।
এর এক বছর পরেই ইংল্যান্ডের সামনে আবারও স্বপ্ন জয়ের মঞ্চ তৈরি। এবার ক্রিকেটে। তাদের সামনে ঘরের ট্রফি ঘরে রেখে দেওয়ার চ্যালেঞ্জ। ফুটবলে তো ফাইনালে যেতে পারেনি, তবে ক্রিকেটে ঠিকই ফাইনালে পৌঁছেছে ইংলিশরা।
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে আজকের ম্যাচটি জিতলেই প্রথমবারের মতো ক্রিকেটে বিশ্বচ্যাম্পিয়নের ট্যাগ লাগবে ইংলিশদের গায়ে। এখন পর্যন্ত তিনবার ফাইনাল খেলেছে ক্রিকেটের জন্মদাতা দেশটি। একবারও ছুঁয়ে দেখতে পারেনি ট্রফিটি।
তিনবারের সেই দুঃখ এবার মরগ্যানরা ঘোচাবেন এমন স্বপ্নে বিভোর ইংলিশরা। আর মাত্র একটি ম্যাচ পরেই বোঝা যাবে এবারের আসরে কারা বিশ্বচ্যাম্পিয়ন। ক্রিকেটের তীর্থভূমি লন্ডনের লর্ডসে আজ নির্ধারণ হয়ে যাবে চার বছরের জন্য সেরা দল। গত আসরের রানার্সআপ নিউজিল্যান্ড ও স্বাগতিক ইংল্যান্ডের মধ্যে হবে এবারের চ্যাম্পিয়ন হওয়ার লড়াই।
ফাইনাল নিয়ে ইংল্যান্ড অধিনায়ক এউইন মরগ্যান জানান, তার মধ্যে কোনো চাপ কাজ করছে না। তিনি বলেন, ‘আমাদের মধ্যে কোনো চাপ কাজ করছে না। ভয়ের তো কোনো কারণ নেই। নিজেদের যোগ্যতায় লর্ডসে ফাইনাল যোগ্যতা অর্জন করেছি। ফাইনালেও আমরা ভালো খেলব, উপভোগ করব। আমরা সবাই আশা আশা করছি, সেভাবেই সাফল্য আসবে।’ দৃঢ়প্রত্যয়ী মরগ্যান জানান, তারা খেলাটা উপভোগ করতে শিখে গেছেন।
তাই গ্রুপপর্বে হারার পরও ভেঙে পড়েনি তার দল। মরগ্যান বলেন, ‘আমাদের দলে জয়ের মূলমন্ত্রটা কি জানেন? খেলাকে কীভাবে উপভোগ করতে হয় তা আমরা এখন শিখে গেছি। সেমিফাইনালটা হতে পারে উজ্জ্বল উদাহরণ। তা ছাড়া খারাপ খেলার পরও ভেঙে পড়িনি।’
গ্রুপপর্বে তার দল নিউজিল্যান্ডকে হারিয়েছে। ফাইনালে সেই প্রতিপক্ষ নিউজিল্যান্ড। ফাইনালের প্রতিপক্ষ নিয়ে মরগ্যান বলেন, ‘নিউজিল্যান্ড ভারতের বিরুদ্ধে সেমিফাইনালে দুর্দান্ত ক্রিকেট খেলেছে। বিশেষ করে বোলিং বিভাগ তো দুর্দান্ত ছিল।
তাই ফাইনালে আমরা তাদেরকে সহজ প্রতিপক্ষ হিসেবে মোটেই দেখছি না।’ ইংল্যান্ড প্রথমবার বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠেছিল ১৯৭৯ সালে। মাঝে ৪০ বছর, নয়টি বিশ্বকাপ চলে গেছে, তবু অধরা থেকে যাবে স্বপ্নের ট্রফিটি? ’৭৯ সালে প্রথম ট্রফি জয়ের সুযোগ হারানোর আক্ষেপ কি ঘুচবে ’১৯-এ? তা বোঝা যাবে লর্ডসে আজ রাতেই।