স্বদেশ ডেস্ক:
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ের একটি রিসোর্টে হেফাজত ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হকের সঙ্গে থাকা সেই নারীর সঠিক পরিচয় মিলেছে। মামুনুল হকের সঙ্গে থাকা সেই নারীর নাম জান্নাত আরা ঝর্ণা (২৭)। তিনি ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের কামারগ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. ওলিয়ার রহমান ওরফে ওলি মিয়ার মেঝ মেয়ে। ওলিয়ার রহমান কামারগ্রাম ৪ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি।
মামুনুল হক ওই নারীর নাম আমেনা তৈয়াবা বললেও ওই নারী নিজেকে জান্নাত আরা বলে পরিচয় দেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ও গণমাধ্যমে প্রচারের পর দেশজুড়ে শুরু হয়েছে তোলপাড়। উপজেলাজুড়ে এখন ঝর্ণাকে নিয়েই চলছে আলোচনার ঝড়। তবে জান্নাতের আগে বিয়ে হয়েছে, দুটি সন্তান আছে, এ কথা সবাই জানলেও মামুনুল হকের সঙ্গে দ্বিতীয় বিয়ের কোনো খবরই জানেন না এলাকাবাসী।
এদিকে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ের রয়েল রিসোর্টের কক্ষ ভাড়ার সময় মামুনুল হক রেজিস্টারে নিজের নাম-ঠিকানা সঠিক লিখলেও তার সঙ্গীনির নাম লুকিয়েছেন। তার কথিত সেই দ্বিতীয় স্ত্রীর নাম জান্নাত আরা ঝর্ণা হলেও মামুনুল রিসোর্টের নথিতে তার নাম উল্লেখ করেছেন আমেনা তাইয়্যেবা। জানা গেছে আমেনা তাইয়্যেবা মামুনুল হকের প্রথম স্ত্রী। তিনি চার সন্তানের জননী।
দেশজুড়ে এ ঘটনা নিয়ে যখন তোলপাড় চলছে, তখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছেন যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে গড়ে ওঠা সংগঠন ‘গণজাগরণ মঞ্চ’র মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকার। সেখানে তিনি বেশ কয়েকটি প্রশ্ন রেখেছেন হেফাজত নেতাকর্মীদের কাছে।
আমাদের সময় অনলাইন পাঠকদের জন্য গতকাল রোববার ফেসবুকে ইমরানের দেওয়া পোস্টটি হুবহু তুলে ধরা হলো-
মামুনুল হক যে নারীকে নিয়ে রিসোর্টে গিয়েছিল, মামুনুলের দাবি অনুযায়ী উনি তার দ্বিতীয় স্ত্রী। এরপর কিছু প্রশ্ন-
১. ভিডিওতে দেখা যায় মামুনুল বলছে তার স্ত্রীর নাম আমিনা তাইয়্যেবা। অন্যদিকে ঐ নারী বলছেন উনার নাম জান্নাত আরা। আজকে গণমাধ্যমও নিশ্চিত করেছে উনার নাম জান্নাত আরা। প্রশ্ন হলো, মামুনুল কি তার স্ত্রীর নাম জানে না, নাকি ইচ্ছা করেই মিথ্যা বললো? দেখি এই প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যায় কিনা।
২. রিসোর্টের চেকইন ফর্মে ঐ নারীর নাম এন্ট্রি করা হয়েছে আমিনা তাইয়্যেবা নামে। কেনো এই মিথ্যার আশ্রয়? আমিনা তাইয়্যেবাই বা কে?
৩. গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেল, আমিনা তাইয়্যেবা মামুনুলের নিজের স্ত্রীর নাম। আচ্ছা, এবার বুঝা যাচ্ছে মামুনুল তাহলে নেকাবের আড়ালের সুযোগ নিয়ে স্ত্রীর নামে এন্ট্রি করে অন্য নারীকে নিয়ে প্রমোদে গিয়েছিল। ন্যূনতম বিবেচনা শক্তি থাকলেও পরিষ্কার বুঝা যায় এই মহিলা মামুনুলের স্ত্রী নয়। এরাই আবার ধর্মের কথা বলে, ইসলামের কথা বলে। এমনকি আল্লাহর কসম দিয়ে মিথ্যা কথা বলা এই লোক তো মনে হয় আল্লাহকে বিশ্বাসই করে না, তার মনে আল্লাহর ভয় থাকলে কি আল্লাহর নামে, কোরানের নামে এমন নির্লজ্জ মিথ্যাচার করতে পারতো?
পাশাপাশি হেফাজতে ইসলাম সাংগঠনিক ভাবে মামুনুলের পাশে দাঁড়িয়ে প্রমাণ করেছে তাদের আদর্শ লাম্পট্য, তাদের আদর্শ জেনা। ইসলাম হেফাজতের নামে তারা দুশ্চরিত্র বদমাশদের হেফাজতের এজেন্ডা নিয়ে মাঠে নেমেছে। ইসলামের লেবাসধারী এই জেনাকারি, ভন্ড, প্রতারকদের প্রতিহত করার সময় এসেছে৷
দয়া করে আল্লাহ প্রদত্ত বুদ্ধি বিবেচনা কাজে লাগান। এদের আসল চেহারা তুলে ধরে মানুষকে সচেতন করুন। আপনার আমার কষ্টার্জিত পয়সায় এদের হেলিকপ্টার ভ্রমণ আর নারীসঙ্গের দিন শেষ হতে চলেছে ইনশাআল্লাহ।