স্বদেশ ডেস্ক: পাকিস্তানে বিরোধী ১১ দলীয় জোট পাকিস্তান ডেমোক্রেটিক মুভমেন্ট (পিডিএম) কী তবে ভেঙে গেল! এমনিতেই গঠিত হওয়ার অল্প কিছুদিন পরেই এর মধ্যে টানাপড়েন দেখা দেয়। তবে তা এখন যেন চূড়ান্ত রূপ নিতে যাচ্ছে। এ অবস্থায় জোটের শরিক পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) এবং আওয়ামী ন্যাশনাল পার্টি (এএনপি)’কে বাদ দিয়ে নতুন একটি জোট গঠনের পথে পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজ (পিএমএলএন)। তাদের সঙ্গে হাত মিলাচ্ছে জমিয়তে উলেমায়ে ইসলাম (জেইউআইএফ), পখতুনখাওয়া মিল্লি আওয়ামী পার্টি (পিকেএমএপি), ন্যাশনাল পার্টি (এনপি) এবং বেলুচিস্তান ন্যাশনাল পার্টি (বিএনপি-মেঙ্গাল)। যদি এই ৫টি দল নিয়ে জোট গঠিত হয় তাহলে তাদের নিয়ন্ত্রণে থাকবে উচ্চকক্ষ সিনেটের ২৭টি আসন। এ খবর দিয়েছে অনলাইন ডন। এতে আরো বলা হয়, শুক্রবার জোটের মিটিং ছিল। এতে উপস্থিত হয়নি পিপিপি এবং এএনপি।
কেন তারা ওই মিটিংয়ে উপস্থিত হয়নি তা জানতে নোটিশ পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, জোটের সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করেছে এই দুটি দল। পিপিপি এবং এএনপি বাদে বিরোধী ৫ দলের সিনেটরদের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে বিবৃতি দিয়েছেন পিএমএলএনের মরিয়ম আওরঙ্গজেব।
মনে করা হচ্ছে, এর মধ্য দিয়ে পিডিএম কার্যত ভেঙে যাচ্ছে। এতে পিপিপি এবং এএনপি’কে শক্তিশালী করবে। পিপিপির বিরুদ্ধে এরই মধ্যে অভিযোগ উঠেছে যে, তারা পাকিস্তান সরকারের পক্ষ অবলম্বন করছে। সিনেটে বিরোধী দলীয় নেতা হিসেবে পিপিপির সৈয়দ ইউসুফ রাজা গিলানিকে নেতা হিসেবে মনোনয়ন দেয়া নিয়ে প্রধান দুই বিরোধী দল পিপিপি এবং পিএমএলএনের মধ্যে লড়াই তীব্র হয়ে ওঠে। পিপিপি সরাসরি ঘোষণা দিয়েছে, পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ সিনেটে পিএমএলএন যদি গিলানিকে সমর্থন না করে তাহলে পিএমএলএনের শাহবাজ শরীফকে জাতীয় পরিষদের বিরোধী দলীয় নেতা হিসেবে মেনে নেবে না পিপিপি। সিনেটে পিএমএলএনের পার্লামেন্টারি নেতা আজম নাজির তারার এক বিবৃতিতে বলেছেন, বিরোধী ৫টি দল মিলে নতুন একটি জোট গঠনের সিদ্ধান্ত হয়েছে।
শুক্রবারের বৈঠকে পিডিএম প্রেসিডেন্ট মাওলানা ফজলুর রেহমানকে বলা হয়েছে পিপিপি এবং এএনপি’কে শোকজ নোটিশ দিতে। এতে তাদের কাছে ব্যাখ্যা চাইতে হবে যে, কেন তারা পিডিএমের সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করেছে। বৈঠকে আরো প্রশ্ন তোলা হয় কেন ওই দুটি পার্টি বেলুচিস্তান আওয়ামী পার্টি (বিএপি)’র ভোট পেয়েছে সাম্প্রতিক সিনেট নির্বাচনে এবং কেন একটি ক্ষমতাসীন অংশীদারদের সঙ্গে জোটবদ্ধ হয়েছে তারা। এর আগে বুধবার বিবৃতি দিয়েছেন পিপিপির নেতা নাভিদ কমর। তিনি বলেছেন, যদি পিএমএলএন এবং জেইউআইএফ সিদ্ধান্ত নেয় যে, সিনেট নির্বাচনে বিরোধী দলীয় নেতাকে স্বীকৃতি দেবে না, তাহলে জাতীয় পরিষদের নির্বাচনে বিরোধী দলীয় নেতাকেও আমরা মেনে নিতে বাধ্য থাকবো না। পিপিপির নেতা ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী গিলানিকে পিএমএলএন এবং জেইউআইএফ স্বীকৃতি দেবেন না এমন রিপোর্ট বের হওয়ার মধ্যে এ বিবৃতি দিয়েছেন পিপিপির ওই নেতা।