বৃহস্পতিবার, ২৯ মে ২০২৫, ০৩:২৬ অপরাহ্ন

তিস্তার পানি বিপদসীমার ওপরে, ২০ গ্রাম প্লাবিত

স্বদেশ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : শনিবার, ১৩ জুলাই, ২০১৯

স্বদেশ ডেস্ক: একটানা বৃষ্টি আর উজানের পাহাড়ি ঢলে তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমার ৫০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আজ শনিবার সকাল ৬টা থেকে ডালিয়া পয়েন্টে বিপদসীমার ৫০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে তিস্তা নদীর পানির প্রবাহ অব্যাহত রয়েছে।

ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের পানি পরিমাপক উপ-সহকারী প্রকৌশলী আমিনুর রশিদ বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, উজানের ঢল সামাল দিতে তিস্তা ব্যারাজের ৪৪টি স্লুইস গেটের (জলকপাট) সবগুলোই খুলে রাখা হয়েছে।

এদিকে টানা বৃষ্টি আর উজানের ঢলে ব্রহ্মপুত্র ও যমুনা নদীর তীরবর্তী গাইবান্ধা চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চলের অন্তত ২০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন সদর, সুন্দরগঞ্জ, ফুলছড়ি ও সাঘাটা উপজেলার অন্তত পাঁচ হাজার মানুষ। এসব এলাকার কাঁচা রাস্তাঘাট তলিয়ে গেছে।

পানিতে ডুবে গেছে ধানের বীজতলা, পাট, মরিচসহ বিভিন্ন ফসলের জমি। পানি বৃদ্ধি আর তীব্র স্রোতের কারণে নদীর তীরবর্তী এলাকায় ব্যাপক ভাঙন দেখা দিয়েছে। ভাঙনে এরই মধ্যে চার উপজেলার অন্তত পাঁচ শতাধিক বসতভিটা, আবাদি জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে। এতে ভাঙনে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন নদী তীরবর্তী এলাকার মানুষরা।

তবে জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনো চার উপজেলায় পানিবন্দী পরিবারের সংখ্যা নির্ধারণ করা হয়নি। সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা বলছেন, ব্রহ্মপুত্রের পানি বিপদসীমার উপরে প্রবাহিত হলেও এখনো বন্যার প্রভাব পড়েনি।

তবে নিম্নঞ্চল ও চরাঞ্চলের কিছু কিছু বসতভিটায় পানি ঢুকে পড়লেও আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দেন জেলা প্রশাসক মো. আবদুল মতিন। বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়ার কথা জানিয়ে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরি করে তাদের ত্রাণ সহায়তার আশ্বাস দেন তিনি।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

এ জাতীয় আরো সংবাদ