স্বদেশ ডেস্ক: ‘শেষ ভালো যার সব ভালো তার’ এই বাংলা প্রবাদটি যদি বাস্তবেও সত্য হয়, তাহলে এবারের বিশ্বকাপে শেষবারের মতো বিশ্বমঞ্চে খেলতে নেমেছিলেন যারা তাদের জন্য সত্যিই হতাশার। ইংল্যান্ডেই নিজের শেষ বিশ্বকাপ খেলেছেন ব্যাটিং ও বোলিংয়ের অনেক তারকা-মহাতারকা। কিন্তু তাদের প্রায় সবাই হয়েছেন ব্যর্থ। চলতি বিশ্বকাপই যাদের ক্যারিয়ারের শেষ বিশ্বকাপ, তাদের পারফরম্যান্স দেখে নেওয়া যাক এক নজরে-
মাশরাফি বিন মর্তুজা অধিনায়ক হিসেবে আগে থেকেই আলাদা সুখ্যাতি ছিল মাশরাফির। সাম্প্রতিক সময়ে তার নেতৃত্বে বাংলাদেশের সাফল্যে এবারের বিশ্বকাপে বাংলাদেশের স্বপ্নটা বড় করেছিল। কিন্তু বিশ্বকাপে দলের সঙ্গে অধিনায়ক মাশরাফির ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সও ছিলো বাজে। ৮ ম্যাচে বল হাতে ৩৬১ রান দিয়ে পেয়েছেন মাত্র ১ উইকেট। ৮ ম্যাচের ৫ ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে ৮.৫০ গড়ে তিনি করেছে মাত্র ৩৪ রান।
মহেন্দ্র সিং ধোনি: বয়সটা ৩৮ হয়ে গেলেও এখনও ভারতের ব্যাটিং অর্ডারের অন্যতম ভরসার নাম ধোনি। কিন্তু চলতি বিশ্বকাপে একেবারেই নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি তিনি। সেমিফাইনালে শেষ পর্যন্ত ভরসা দিয়েও শেষ মুহূর্তে রান আউটে কাটা পড়ে ফাইনালে তুলতে পারেননি দলকে। এই বিশ্বকাপে ৯ ম্যাচের ৮ ইনিংসে ৪৫.৫০ গড় আর ৮৭.৭৮ স্ট্রাইক রেটে ধোনি করেছেন ২৭৩ রান। যার মধ্যে সর্বোচ্চ ৫৬ রান।
ক্রিস গেইল: ক্যারিবীয়ান এই ব্যাটিং দানবের বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ের উপর ভরসা ছিলো অনেকেরই। কিন্তু বিশ্বকাপে পুরোপুরি ব্যর্থই বলা চলে তাকে। এবারের বিশ্বকাপে ৯ ম্যাচের ৮ ইনিংস ৩০.২৫ গড় আর ৮৮.৩২ স্ট্রাইক রেটে তিনি করেছেন ২৪২ রান। এক ইনিংসে তার সর্বোচ্চ ৮৭ রান।
লাসিথ মালিঙ্গা: বরাবরের মতো এবারও শ্রীলংকার বোলিং আক্রমণের দায়িত্ব ছিল লাসিথ মালিঙ্গার কাঁধে। এই বিশ্বকাপে ৭ ম্যাচের ৭ ইনিংসে ৬০৪ ইকোনোমিতে ১৩ উইকেট নিয়ে সে দায়িত্ব ঠিকমতো পালনও করেছেন তিনি। হয়েছেন দলের সেরা বোলার। কিন্তু দলকে সেমিফাইনালে উঠতে না পারায় মালিঙ্গার বিশ্বকাপের শেষটাও আশানুরুপ হয়নি।
ইমরান তাহির: পুরোপুরি এক ব্যর্থ বিশ্বকাপ কাটিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। এবারে শেষ বিশ্বকাপ খেলতে আসা ইমরান তাহিরের বিশ্বকাপও তাই খুব সুখকর হওয়ার কথা না। চলতি বিশ্বকাপে ৯ ম্যাচের ৮ ইনিংসে ৩৭৪ রান দিয়ে ১১ উইকেট পেলেও দল ব্যর্থ হওয়ায় তাহিরের বিশ্বকাপ স্মৃতি খুব একটা ভালো বলা যায় না। হাশিম আমলা পুরো ক্যারিয়ার জুড়েই দারুণ ছন্দে ছিলেন আমলা। তবে নিজের শেষ বিশ্বকাপ খেলতে এসেই ব্যর্থ হলেন তিনি। এই বিশ্বকাপে ৭ ম্যাচের ৭ ইনিংস ৪০.৬০ গড় আর ৬৪.৮৫ স্ট্রাইক রেটে ২০৩ রান করা আমলার বিশ্বকাপটা তাই বলা যায় ব্যর্থই।