স্বদেশ ডেস্ক:
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের রাজনীতি ধ্বংস করেছিলেন। মীরজাফর ও খন্দকার মোশতাকের পর জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের ইতিহাসে তৃতীয় বিশ্বাসঘাতক হিসাবে পরিচিত হয়ে আছেন। মুক্তিযুদ্ধের অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশকে তিনি মৌলবাদি রাষ্ট্রে পরিণত করেছিলেন।
শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে এক আলোচনা সভায় এমন মন্তব্য করেন তিনি। ‘আবার ইতিহাস বিকৃতির ষড়যন্ত্র’ শিরোনামে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে ‘সম্প্র্রীতি বাংলাদেশ’। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি সংসদ-সদস্য মুহম্মদ শফিকুর রহমান, সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. বিমানচন্দ্র বড়ুয়া।
সভায় সভাপতিত্ব করেন সম্প্রীতি বাংলাদেশের আহ্বায়ক পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়। সঞ্চালনা করেন সংগঠনের সদস্য সচিব অধ্যাপক ডা. মামুন আল মাহতাব (স্বপ্নীল)। আলী হাবিবের লেখা মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক মাসুম বিল্লাহ। শ ম রেজাউল করিম বলেন, বিএনপি ৭ মার্চকে বিকৃত করার চেষ্টা করছে। কার্যত ৭ মার্চেই বঙ্গবন্ধু প্রকৃত স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন।
সেই ইতিহাস বিকৃত করার চেষ্টা হলে ইতিহাসই বিএনপিকে আস্তাকুঁড়ে নিক্ষেপ করবে। ইতিহাস মিথ্যাকে গ্রহণ করে না। তাই মিথ্যার রাজনীতিই বিএনপিকে ধ্বংস ও নিঃশেষ করবে। সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক বলেন, জিয়াউর রহমান ছিলেন স্বাধীনতাবিরোধী। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বাবা ছিলেন রাজাকার। জিয়া ছিলেন পাকিস্তানের চর। তিনি কোনো অবস্থাতেই মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন না। মানুষের চাপে পড়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন। জেনারেল ওসমানী তার কোর্ট মার্শাল করতে চেয়েছিলেন।