স্বদেশ ডেস্ক:
সপ্তাহের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম কেজিতে ১০ থেকে ১৫ টাকা বেড়েছে। রাজধানীর খুচরা বাজারগুলোয় দেশি পেঁয়াজের কেজি এখন বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৫০ টাকায়। আবার বাছাই করা ভালো মানের পেঁয়াজ কিনতে গুনতে হচ্ছে বাড়তি কড়ি, সে ক্ষেত্রে কেজি গিয়ে পড়ছে ৫৫ টাকা। গতকাল রাজধানীর কারওয়ানবাজার, মালিবাগসহ বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা যায়, খুচরা দোকানে দেশি মুড়িকাটা পেঁয়াজ প্রতি কেজি ৪৫ থেকে ৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে আমদানি করা পেঁয়াজের কেজি ৩৫ থেকে ৪০ টাকা।
মালিবাগ বাজারের পেঁয়াজ ব্যবসায়ী মো. শাহবুদ্দিন বলেন, ‘গত সপ্তাহে দুই দফায় পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। আড়তে ঘাটতি নেই, তবুও পাইকারিতে হঠাৎ করেই দাম বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। গত শুক্রবার খুচরায় ৩৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হওয়া দেশি পেঁয়াজ এ সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়। এ ছাড়া বাছাই করা এক নম্বর পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫৫ টাকা কেজি। তবে সুখসাগর জাতের পেঁয়াজ কিছুটা কম দামে ৪০ থেকে ৪৫ টাকা কেজি দরে মিলছে।’
কারওয়ানবাজারের পেঁয়াজ বিক্রেতা জুয়েল মিয়া বলেন, ‘এ বাজারে অন্যান্য দিনের মতোই পেঁয়াজ ঢুকছে। তবুও বাজারে দাম বাড়তি। গত রবিবার থেকে হঠাৎ চড়তে শুরু করে দাম। তবে আড়তদাররা বলছেন, মুড়িকাটা পেঁয়াজ ফুরিয়ে আসছে। নতুন পেঁয়াজ না আসা পর্যন্ত দাম এমনটাই অস্থির থাকার আশঙ্কা।’ পেঁয়াজ কিনতে কারওয়ানবাজারে আসা বেসরকারি চাকরিজীবী মো. আশানুর রহমান বলেন, ‘বাজারে পেঁয়াজের ছড়াছড়ি। তবুও দাম বাড়ছে। দোকানিরা দেশি পেঁয়াজের ঘাটতির কথা বললেন, কিন্তু সাধারণ মানুষ ঠিকই বোঝে সব। সামনে রোজা তাই এখন থেকেই পেঁয়াজের বাজার চড়া করছে ব্যবসায়ীরা।’
এদিকে শ্যামবাজারের আজমেরী ভা-ারের ব্যবসায়ী তপু সেন বলেন, ‘বাজারে পেঁয়াজের ঘাটতি নেই। তবে আগেভাগে আসা মুড়িকাটা পেঁয়াজ ফুরিয়ে আসায় বেশ কিছুদিন ধরে এর স্বাভাবিক সরবরাহ ব্যাহত হচ্ছে। তাই দামেও প্রভাব পড়ছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘এ সপ্তাহে শ্যামবাজারে পেঁয়াজের দাম খুব অল্প বেড়েছে। কিন্তু অন্যান্য বাজারে, বিশেষ করে খুচরায় দাম বেশি বাড়িয়ে বিক্রি করছে দোকানিরা। তবে সামনে বাজারে নতুন হালি পেঁয়াজ উঠতে শুরু করবে। তখন আবার দাম নেমে আসবে।’
এদিকে গত সপ্তাহের মতো এ সপ্তাহেও চড়া রয়েছে মুরগির বাজার। খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি ব্রয়লার ১৫০ থেকে ১৫৫ টাকা, লাল লেয়ার ১৮০ থেকে ১৮৫, সোনালি ৩২০ থেকে ৩৩০ এবং দেশি মুরগি ৪২০ থেকে ৪৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
স্বস্তি দিচ্ছে না চালের দামও। খুচরায় নাজিরশাইল চাল প্রতি কেজি ৬৫ থেকে ৭০ টাকা, মিনিকেট ৬০ থেকে ৬৫ এবং মাঝারি বিআর-২৮ চাল ৪৫ থেকে ৪৮ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া আগের মতোই বাজার খরচ বাড়াচ্ছে ভোজ্যতেল। তবে কিছুটা হলেও স্বস্তি দিচ্ছে তরিতরকারির দাম। সপ্তাহের ব্যবধানে অনেকটাই অপরিবর্তিত রয়েছে সবজির বাজার।
কারওয়ানবাজারের সবজি সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স রিয়াদ এন্টারপ্রাইজের ব্যবসায়ী বলরাম চন্দ্র বলেন, ‘বাজারে ঢেড়শসহ বেশ কয়েকটি সবজির দাম কমেছে। আগামী কয়েক দিনে দাম আরও কমবে। তবে দিন যত বাড়ছে, শীতের সবজির সরবরাহ কমে আসছে। ফলে আগামীতে এসব সবজির দর বাড়ার সম্ভাবনা।’