বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ১১:০৮ পূর্বাহ্ন

নুসরাত হত্যা: ১৩ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ

নুসরাত হত্যা: ১৩ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ

স্বদেশ ডেস্ক: ফেনীর আলোচিত মাদরাসা ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় দশম দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ ও জেরা শেষ হয়েছে। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মামুনুর রশিদের আদালতে পূর্ব নির্ধারিত নুসরাতের মাদরাসা শিক্ষক আবুল খায়ের সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য করেন। দুপুরে মাদ্রাসা শিক্ষকের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়। এ নিয়ে হত্যা মামলার ১৩ জন সাক্ষির সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়েছে। ১৪ জুলাই আরও দুই জন সাক্ষির সাক্ষ্য গ্রহণ হবে। তারা হলেন-আবদুল হালিম মামুন ও মো ইউসুফ। মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী এম শাহজাহান সাজু, এ পর্যন্ত ১৩ জনের সাক্ষ্য ও জেরা শেষ হয়েছে। ১১ জুলাই মাদরাসা শিক্ষক আবুল খায়ের সাক্ষ্য প্রদান করেন। সাক্ষির জবানবন্দিতে আবুল খায়ের আদালতকে জানান, গত ৬ এপ্রিল পরীক্ষার হলে কামরুন নাহার মনি ও উম্মে সুলতানা পপি ১৫ মিনিট দেরিতে প্রবেশ করেছে। এবিষয়ে তারা জানিয়েছিল, তারা বার্থরুমে ছিল। তার কিছুক্ষণ পরে নুসরাতের অগ্নিকা-ের খবর শুনতে পান শিক্ষক আবুল খায়ের। এর আগে গত ২৭ জুন মামলার বাদী ও প্রথম সাক্ষী নুসরাতের বড় ভাই মাহমুদুল হাসান নোমানের সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়। পরে রাফির বান্ধবী নিশাত সুলতানা ও সহপাঠি নাসরিন সুলতানা, মাদরাসার পিয়ন নুরুল আমিন, নৈশ প্রহরী মো. মোস্তফা, কেরোসিন বিক্রেতা লোকমান হোসেন লিটন, বোরকা দোকানদার জসিম উদ্দিন ও দোকানের কর্মচারী হেলাল উদ্দিন ফরহাদ, নুসরাতের ছোট ভাই রাশেদুল হাসান রায়হান, জহিরুল ইসলাম, হল পরিদর্শক বেলায়েত হোসেন, নুসরাতের মা শিরিন আখতার ও শিক্ষক আবুল খায়েরর সাক্ষ্য গ্রহণ ও জেরা শেষ হয়।

উল্লেখ্য,চলতি বছরের ২৭ মার্চ সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদরাসার আলিম পরীক্ষার্থী নুসরাত জাহান রাফিকে যৌন নিপীড়নের দায়ে মাদরাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ৬ এপ্রিল ওই মাদরাসা কেন্দ্রের সাইক্লোন শেল্টারের ছাদে নিয়ে অধ্যক্ষের সহযোগীরা নুসরাতের শরীরে আগুন ধরিয়ে দেয়। টানা পাঁচদিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়ে ১০ এপ্রিল মারা যান নুসরাত জাহান রাফি।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877