স্বদেশ ডেক্স: কুমিল্লার দেবিদ্বারে মা-ছেলেসহ তিনজনকে কুপিয়ে হত্যা করার ঘটনায় এখনো কোনো রহস্য উদঘাটন করতে পারেনি পুলিশ। তবে ঘটনার আগের রাতে ঘাতক মোখলেছুর রহমানের বাড়িতে অপরিচিত পাঁচ ব্যক্তিকে এবং ঘটনার দিন সকালে বোরকা পরিহিত এক নারীকে বাড়ির লোকজন দেখতে পায়। ওই ব্যক্তিরা কারা, কী তাদের পরিচয়, কেন ঘাতক মোখলেছের বাড়িতে তারা আসলো? এ নিয়ে এলাকায় চলছে নানা গুঞ্জন।
অপরিচিত পাঁচ ব্যক্তি সম্পর্কে জানতে চাইলে নিহত মোখলেছের স্ত্রী রাবেয়া আক্তার বলেন, ‘ঘটনার দিন সকালে আমি ঢাকা থেকে এসেছি। রাতে বা সকালে বাড়িতে কে আসছে আমার জানা নেই।’
নিহত আনোয়ারার বড় মেয়ে আকলিমা ও ছোট মেয়ে নিপা আক্তার জানান, ঘাতক মোখলেছের বাড়িতে ঘটনার আগের দিন অপরিচিত কিছু লোককে দেখতে পায় তার বাড়ির লোকজন। ওই লোকজনের পরিচয় পাওয়া গেলে ঘটনার রহস্য জানা যেতে পারে।
এ ব্যাপারে সুলতানপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. শফিকুল ইসলাম জানান, ঘাতক মোখলেছ একজন সাধারণ রিকশাচালক হওয়ার পরও তার বাড়িতে পাকা বিল্ডিং! এর পিছনে রহস্য আছে। রিকশা চালানোর পাশাপাশি সে মাদক ব্যবসায় জড়িত ছিল কিনা তাও খতিয়ে দেখা প্রয়োজন।
তিনি আরও বলেন, ঘটনার আগের রাতে তার ঘরে নারী-পুরুষসহ কয়েকজন অপরিচিত লোকও এসেছিল। ওরা কারা? কী জন্য এসেছিলেন? তা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। বিশেষ করে তার স্ত্রী ও বড় ভাইয়ের স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করলেই এ ঘটনার রহস্য বেরিয়ে আসবে।
সম্প্রতি পদ্মা সেতুকে কেন্দ্র করে শিশুদের মাথা কাটার বিষয় অর্থাৎ আতঙ্ক ছড়ানোর পেছনে কোনো রহস্য আছে কিনা তাও খোঁজ নিতে হবে, যোগ করেন শফিকুল ইসলাম।
এদিকে গণপিটুনিতে ঘাতক নিহত হওয়ার পর ঘাতক মোখলেছের বাড়িতে আর কাউকে পাওয়া যায়নি বলে জানা গেছে।
প্রসঙ্গত, গত বুধবার সকাল ১০টার দিকে উপজেলার সুলতানপুর ইউনিয়নের রাধানগর গ্রামে ঘাতক রিকশাচালক মোখলেছ এলোপাতাড়ি ১০/১২ জনকে কুপিয়ে আহত করে। এ সময় ঘটনাস্থলেই এক শিশু ও দুই নারী মারা যান। পরে বিক্ষুব্ধ জনতা ঘাতক মোখলেছকে পিটিয়ে হত্যা করে।
এ ব্যাপারে দেবিদ্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জহিরুল আনোয়ার জানান, পুলিশ হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এ হত্যার পিছনে যদি কোনো রহস্য থেকেও থাকে তা খতিয়ে বের করা হবে।