রবিবার, ১২ জানুয়ারী ২০২৫, ০৩:৫৬ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে হোয়াইটওয়াশ এড়ালো শ্রীলঙ্কা রাজধানীতে ৩৪ চোরাই মোবাইলসহ চোরচক্রের সদস্য গ্রেপ্তার হোয়াটসঅ্যাপে স্লিপ গ্রহণ করবে হাইকোর্ট বেঞ্চ সাম্প্রদায়িক হামলা বন্ধে জিরো টলারেন্স নীতিতে সরকার, গ্রেপ্তারের নির্দেশ যুক্তরাষ্ট্রে ভয়াবহ দাবানলের মধ্যেই চলছে লুটপাট, কারফিউ জারি অন্তঃসত্ত্বা সাংবাদিককেও হুমকির অভিযোগ টিউলিপের বিরুদ্ধে সিরিয়ায় আসাদের ‘বিশ্বস্ত’ কর্মকর্তার প্রকাশ্যে মৃত্যুদণ্ড এবি পার্টির চেয়ারম্যান মঞ্জু ও সম্পাদক ফুয়াদ মাদুরোকে গ্রেপ্তারে আড়াই কোটি ডলার পুরস্কার ঘোষণা যুক্তরাষ্ট্রের পঞ্চগড়ে তাপমাত্রা ৮ ডিগ্রির ঘরে, মৃদু শৈত্যপ্রবাহ
যে কারণে প্রেমিককে ৫ টুকরো করেন ৫০ বছরের প্রেমিকা

যে কারণে প্রেমিককে ৫ টুকরো করেন ৫০ বছরের প্রেমিকা

স্বদেশ ডেস্ক:

রাজধানীর ওয়ারী থানা এলাকা থেকে সজিব হাসান নামে এক ব্যবসায়ীকে হত্যা করে লাশ পাঁচ টুকরো করার ঘটনায় আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন একমাত্র আসামি শাহনাজ পারভীন। আজ শুক্রবার আদালতে তিনি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন পুলিশের ওয়ারী বিভাগের উপকমিশনার শাহ ইফতেখার আহমেদ।

তিনি জানান, শুক্রবার বিকেলে আদালত শাহনাজের জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করেন। পরে তাকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।

জবানবন্দিতে শাহনাজ আদালতকে বলেছেন, নিহত বুটিক ব্যবসায়ী সজীব হাসানের (৩৫) সঙ্গে শাহনাজ পারভীন (৫০) ছাড়াও একাধিক নারীর সম্পর্ক ছিল। চার দিন আগে শাহনাজ যখন সজীবের বাসায় ওঠেন, তখন তার গয়নাগাটি বিক্রি করে টাকা দিতে চাপ দিচ্ছিলেন সজীব। শাহনাজকে বাসায় একা রেখে তালা লাগিয়ে সজীব বাইরে যেতেন। এসব পুঞ্জীভূত ক্ষোভ থেকেই সজীবকে ছুরি মেরে হত্যার পর লাশ কেটে পাঁচ টুকরা করেন শাহনাজ।

গতকাল বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে সজীবের এক খালু শাহনাজ পারভীনকে একমাত্র আসামি করে হত্যা মামলা করেন। শাহনাজকে ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। তিনি জবানবন্দি দিতে রাজি হলে তাকে আজ বিকেলে আদালতে পাঠানো হয়।

এর আগে গতকাল বিকেলে রাজধানীর ওয়ারীর কে এম দাস রোডের ভাড়া বাসা থেকে ব্যবসায়ী সজীব হাসানের  লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। সেখান থেকেই শাহনাজকে আটক করা হয়। পুলিশ জানায়, তিন দিন ধরে শাহনাজ নিখোঁজ ছিলেন। তিনিই স্বামীকে ফোন করে নিজের অবস্থান জানান। পরে শাহনাজের স্বামী পুলিশের সহায়তা নিয়ে ওই বাসায় যান।

পুলিশ কর্মকর্তা ইফতেখার আহমেদ জানান, শাহনাজ আদালতকে বলেছেন তার (শাহনাজ) সঙ্গে সজীবের পাঁচ বছর আগে সম্পর্ক হয়। তখন তাকে (শাহনাজকে) স্ত্রী পরিচয় দিয়ে ১৭/১ কে এম দাস লেনের চতুর্থ তলায় বাসা ভাড়া নেন সজীব। শাহনাজের বাসা পাশের রামকৃষ্ণ মিশন রোডে (আর কে মিশন)। তখন থেকে সজীবের বাসায় নিয়মিত যেতেন তিনি। শাহনাজের স্বামী একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা। তার দুই ছেলে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন এবং একমাত্র মেয়ে কলেজে পড়েন।

শাহনাজ আদালতকে বলেন, পাঁচ দিন শাহনাজকে তার স্বামী বুটিকস শেখার কাজ বন্ধ করে বাসায় সময় দিতে বলেন। এ নিয়ে স্বামীর সঙ্গে শাহনাজের কথা–কাটাকাটি হয়। তখন শাহনাজ স্বামীকে হুমকি দিয়ে বলেন তার সঙ্গে (স্বামী) আর থাকবেন না তিনি।

পরদিনই কাউকে কিছু না বলে ব্যাগভর্তি কাপড়চোপড় স্বর্ণালংকার ও গয়নাগাটি নিয়ে সজীবের বাসায় ওঠেন শাহনাজ। বাসায় ওঠার পর শাহনাজ জানতে পারেন তিনি ছাড়াও সজীবের একাধিক নারীর সঙ্গে সম্পর্ক আছে। সজীব আগেও তার কাছ থেকে অনেক টাকা নিয়েছেন। এখন আবার সজীব গয়নাগাটি বিক্রি করে শাহনাজকে টাকা দিতে বলেন। এসব নিয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে সজীবের সঙ্গে তার কথা–কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে সজীব তাকে লাঠিপেটা করেন এবং ছুরিকাঘাত করে হত্যার চেষ্টা করেন। এ সময় শাহনাজ সজীবের কাছ থেকে ছুরি কেড়ে নিয়ে তাকে (সজীব) আঘাত করেন। এতে সজীব মারা যান।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877