বৃহস্পতিবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৫৬ অপরাহ্ন

ক্ষমতা ছাড়ার আগে যে পরিকল্পনা করেছিলেন ট্রাম্প

ক্ষমতা ছাড়ার আগে যে পরিকল্পনা করেছিলেন ট্রাম্প

স্বদেশ ডেস্ক: গত বছরের ডিসেম্বরেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হেরে গিয়েছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। হেরে গেলেও চলতি মাসের ২০ তারিখ পর্যন্ত প্রেসিডেন্ট পদে বহাল ছিলেন তিনি। আর নির্বাচনে হেরে যাওয়ার পর ক্ষমতার শেষ দিনগুলোতে সংবিধানবিরোধী পরিকল্পনা করেছিলেন এ বিদায়ী প্রেসিডেন্ট।

গতকাল শনিবার মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগের এক কর্মকর্তার সঙ্গে সংবিধানবিরোধী কার্যক্রম নিয়ে পরামর্শ করেছিলেন। তিনি দেশটির ভারপ্রাপ্ত অ্যাটর্নি জেনারেলকে বরখাস্ত করে বিচার বিভাগের মাধ্যমে জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যের ভোটের ফলাফল বদলানোর ষড়যন্ত্রও করছিলেন।

অপর মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের খবর বলছে, ডোনাল্ড ট্রাম্প নির্বাচনের ফলাফল বদলে দিতে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করার জন্য মার্কিন বিচার বিভাগের ওপর চাপ দিয়েছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক ভারপ্রাপ্ত প্রতিরক্ষামন্ত্রী ক্রিস্টোফার মিলার মার্কিন সাময়িকী ভ্যানেটি ফেয়ারকে বলেছেন, গত নভেম্বর মাসে দায়িত্ব নেওয়ার পরই তিনটি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তিনি। পেন্টাগন ও বিচার বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন- কোনো সামরিক ক্যু নয়, কোনো যুদ্ধে যাওয়া যাবে না এবং যুক্তরাষ্ট্রের রাজপথে কোনো সেনাবাহিনী থাকবে না।

গত ৬ জানুয়ারি ট্রাম্পের আহ্বানে ক্যাপিটল হিলে হামলার পর থেকেই পরিস্থিতি খারাপ হয়েছে। এ ঘটনায় মদদ দেওয়ার অভিযোগে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় দফা অভিশংসন প্রস্তাব গ্রহণ করে। আগামী মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিশংসন বিচার শুরু হবে। এ নিয়ে ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকানদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। অভিশংসন বিচারে শাস্তি হলে ২০২৪ সালের নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন না ডোনাল্ড ট্রাম্প।

ক্রিস্টোফার মিলার তার সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘পরিস্থিতির ওপর বিচার বিভাগ ও প্রতিরক্ষা বিভাগ থেকে অব্যাহত নজর রাখা হচ্ছিল। সভার পর সভা চলছিল। ক্যাপিটল হিলের পরিস্থিতি খারাপ হওয়ার আগেই ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিয়ে রাখা হয়েছিল।’

ক্ষমতার শেষ দিকে এসে ট্রাম্পের চাপে ছিলেন জর্জিয়ার রিপাবলিকান গভর্নর ব্রায়ান ক্যাম্প এবং সেক্রেটারি অব স্টেট ব্র্যাড রাফেনস্পার্জার। পেন্টাগনে ট্রাম্প কর্তৃক নিয়োগকারী কর্মকর্তা এরজা কোহেন ভ্যানেটি ফেয়ারকে বলেছেন, ‘ট্রাম্প আমাদের বিরূপ পরিস্থিতিতে ঠেলে দিয়েছিলেন।’ রাজনৈতিকভাবে মনোনীতদের ছাড়াও অন্যদেরকেও ট্রাম্প নাজুক বাস্তবতায় ফেলেছিলেন বলে মন্তব্য করেন তিনি।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877