রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৮:১৭ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
হাসপাতাল পরিদর্শনে গিয়ে ‘নো ট্রিটমেন্ট, নো রিলিজ’ নির্দেশ দেন হাসিনা: চিফ প্রসিকিউটর জীবন থাকতে কোনো স্থানীয় নির্বাচন করতে দেওয়া হবে না: ইশরাক ২৫ ফেব্রুয়ারিকে ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ ঘোষণা এবার বাধ্যতামূলক অবসরে ৪ ডিআইজি ইলন মাস্ককে বাংলাদেশ সফরে আমন্ত্রণ জানালেন প্রধান উপদেষ্টা বহিষ্কৃত সেই চাঁদাবাজ যুবদল নেতার বিরুদ্ধে মামলা, গ্রেপ্তার ৪ ‘আজীবন আমার ঘেন্নায় তোমাকে বাঁচতে হবে সোনা’ প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করতে ঢাকায় আসছেন কুয়েট শিক্ষার্থীরা ১৭ বছর পর গ্রামের বাড়িতে বিএনপি নেতা বাবর পাকিস্তান-বাংলাদেশ সরাসরি বাণিজ্য পুনরায় শুরু, ১৯৭১ সালের পর প্রথম
গোসল না করেই ৬৫ বছর

গোসল না করেই ৬৫ বছর

স্বদেশ ডেস্ক: বিশ্বের দীর্ঘতম বা ক্ষুদ্রতম মানুষ কিংবা প্রবীণ মানুষের কথা তো মাঝেমধ্যে শোনা যায়। কিন্তু বিশ্বের সবচেয়ে নোংরা ব্যাক্তি? এমনটা সচরাচর শোনা যায় না। এবার খোঁজ মিলল তেমনই এক আজব মানুষের। টাইমস অফ ইন্ডিয়ার খবর অনুসারে ইরানের অশিতিপর বৃদ্ধ আমৌ হাজি বিশ্বের সবচেয়ে নোংরা ব্যক্তি বলেই অভিহিত। ৮৩ বছরের এই বৃদ্ধের হিসাব বলছে, গত ৬৫ বছর ধরে তিনি গোসল করেননি। কিন্তু কেন? তাঁর কথায়, তিনি পানিকে ভীষণ ভয় পান। তাই ছয় দশকের বেশি সময় কাটিয়ে দিয়েছেন গোসল না করেই। আমৌ মনে করেন, গোসল করেলই তিনি নাকি অসুস্থ হয়ে পড়বেন! ইরানের মরু অঞ্চলে একাই থাকেন আমৌ।

এখনও ভালোবাসার সন্ধানে দিন কাটছে তাঁর। ভালোবাসেন সজারুর পচা মাংস খেতে। আমিষ খাবার তাঁর পছন্দের হলেও ঘরে করা রান্না মুখে বিশেষ রোচে না। তাঁর নিজের বাড়ি বলতে কিছু নেই। গ্রামের বাইরে মাটির নীচে কোনও গর্তেই তাঁর বাস। জানা গিয়েছে, আমৌয়ের জন্য গ্রামবাসীরা একটি কুঁড়ে ঘর তৈরি করে দিয়েছিলেন। কিন্তু সেটা তাঁর না-পসন্দ। বেছে নিয়েছেন নির্জন গর্তকেই। অশিতিপর বৃদ্ধের দাবি, নিজেকে নোংরা রেখেই দীর্ঘজীবী হয়েছেন তিনি। কিন্তু অবাক করা বিষয় হয়, এত নোংরা ভাবে থাকা সত্ত্বেও তাঁর শরীরে কোনও সংক্রমণ নেই। প্রতিদিন একটা মরচে পড়া তেলের পাত্র করে পাঁচ লিটার পানি পান করেন তিনি। এছাড়াও সিগারেটের প্রবল নেশা তাঁর। এখানেও একটি রেকর্ড গড়ে ফেলেছেন তিনি। যখন গ্রামবাসীদের দেওয়া সিগারেট শেষ হয়ে যায়, তখন তামাকের বদলে পশুর শুকনো বর্জ্য ব্যবহার করেন। বর্জ্যতেই আগুন ধরিয়ে দেন সুখটান। পৃথিবীর সমস্ত সুখ বিসর্জন দিয়ে তিনি যে জীবন বেছে নিয়েছেন, তাতে বেজায় খুশি। স্থানীয় মানুষের কথায়, অল্প বয়সে আমৌ আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছিলেন এবং সে কারণেই তিনি নিজের জীবনটা একা কাটাবেন বলে সিদ্ধান্ত নেন।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877