স্বদেশ ডেস্ক:
নোয়াখালীর হাতিয়ায় ঘরে ঢুকে এক নারীকে (৩২) বিবস্ত্র করে ভিডিও সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। গত ১ জানুয়ারি রাতে হাতিয়ার ২ নম্বর চানন্দী ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নারী গত ৫ জানুয়ারি জেলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল-২ মামলা দায়ের করেন।
বিচারক বাদীর অভিযোগ আমলে নিয়ে হাতিয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে (এএসপি) সাত কর্মদিবসের মধ্যে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার আদেশ দেন। বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মিরাজ উদ্দিন জুয়েল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
হাতিয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গোলাম ফারুক জানান, আদালতের নির্দেশনা হাতে পাওয়ার পর গতকাল শনিবার তিনি ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন। আগামী দুই তিন দিনের মধ্যে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে বলেও তিনি জানান।
ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, কয়েকজন লোক বিবস্ত্র অবস্থায় ওই গৃহবধূকে নির্যাতন করে টেনে-হিঁচড়ে একটি কক্ষে ঢুকিয়ে ফেলেন এবং দরজা বন্ধ করে দেন। অপর একজন লাঠি দিয়ে ওই নারীর ঘরের বিভিন্ন আসবাবপত্র ভাঙচুর করছেন।
মামলার এজাহারে ওই নারী অভিযোগ করেন, গত ১ জানুয়ারি তার স্বামীর অনুপস্থিতিতে স্থানীয় জিয়া ওরফে জিহাদ, ফারুক, এনায়েত, ভুট্টু মাঝি ও ফারুক বাহিনীর অন্যান্য লোকজন ঘরে ঢুকে তাকে ‘ধর্ষণের চেষ্টা করেন’। তাতে ব্যর্থ হয়ে সন্ত্রাসীরা তাকে বিবস্ত্র করে নির্যাতন চালান এবং মোবাইল ফোনে সেই ভিডিও ধারণ করেন। এ সময় তিনি ও তার ছেলে-মেয়েদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন জড়ো হতে থাকলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যান।
পরে ওই নারীর স্বামী ওইদিনই এসে তাকে উদ্ধার করে ২৫০ শয্যা নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। হাসপাতারে দুদিন চিকিৎসা নিয়ে ৪ জানুয়ারি থানায় মামলা করতে যান ওই নারী। পুলিশ মামলা না নিলে পরের দিন আদালতে মামলা করেন তিনি।
এর আগে জেলার বেগমগঞ্জে অপর এক নারীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। সে ঘটনায় দেশব্যাপী তোলপাড় শুরু হয়।