মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ০২:১৬ অপরাহ্ন

এমসি কলেজে গৃহবধূকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ : ৮ আসামির বিচার শুরু

এমসি কলেজে গৃহবধূকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ : ৮ আসামির বিচার শুরু

স্বদেশ ডেস্ক:

সিলেটের এমসি কলেজে স্বামীর সঙ্গে বেড়াতে যাওয়া এক গৃহবধূকে ছাত্রাবাসে তুলে নিয়ে দলবেঁধে ধর্ষণের ঘটনায় ছাত্রলীগ কর্মী সাইফুর রহমানসহ আট আসামির বিচার শুরুর আদেশ দিয়েছেন আদালত। আজ রোববার সিলেটের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহিতুল হক আসামিদের উপস্থিতিতে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।

অভিযুক্ত আট আসামি হলেন- সাইফুর রহমান, শাহ মাহবুবুর রহমান রনি, তারেকুল ইসলাম তারেক, অর্জুন লস্কর, আইনুদ্দিন ওরফে আইনুল, মিসবাউল ইসলাম রাজন মিয়া, রবিউল ইসলাম ও মাহফুজুর রহমান মাসুম।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেটের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পিপি রাশিদা সাইদা খানম। তিনি জানান, নিয়ম অনুযায়ী শুনানিতে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগগুলো পড়ে শোনানো হয়। এ সময় আসামি মাহবুবুর রহমান রনি ও অর্জুন লস্করের পক্ষে আইনজীবীরা জামিন চাইলে আদালত তা নামঞ্জুর করেন। এ সময় আসামিদের অব্যাহতির আবেদনও খারিজ করে দেন আদালত।

গত বছরের ২৫ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ৯টার দিকে টিলাগড় এলাকায় সিলেটের এমসি কলেজে স্বামীর সঙ্গে বেড়াতে যাওয়া এক গৃহবধূকে ক্যাম্পাস থেকে তুলে ছাত্রাবাসে নিয়ে ধর্ষণ করার অভিযোগ ওঠে। পরের দিন ২৬ সেপ্টেম্বর ভুক্তভোগীর স্বামী শাহপরাণ থানায় ছাত্রলীগ কর্মী সাইফুর রহমানকে প্রধান আসামি করে ছয়জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও দুই-তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।

মামলাটির তদন্তে নেমে মোট আটজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। আটজনের সবাই আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন। ডিএনএ পরীক্ষাতেও আসামিদের নমুনার সঙ্গে ঘটনাস্থলের ডিএনএ নমুনার মিল পাওয়া যায়। তদন্ত শেষে গত বছরের ৩ ডিসেম্বর সাইফুরসহ আটজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহপরাণ থানার পরিদর্শক ইন্দ্রনীল ভট্টাচার্য।

তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, আট আসামির মধ্যে সাইফুর, রনি, তারেক, অর্জুন, আইনুল ও রাজন ধর্ষণে সরাসরি জড়িত ছিলেন, বাকি দুজন তাতে সহযোগিতা করেছেন।

এমসি কলেজে ধর্ষণের ঘটনার পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রায় একই সময়ে ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের কয়েকটি ঘটনায় এ ধরনের অপরাধের শাস্তি বাড়ানোর দাবি ওঠে।  ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে টানা বিক্ষোভের মধ্যে ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি বাড়িয়ে মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে অধ্যাদেশ জারি করে সরকার। পরে তা সংসদেও আইন হিসেবে পাস হয়। অবশ্য আগের আইনেও দলবেঁধে ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদণ্ডের বিধান ছিল।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877