স্বদেশ ডেস্ক:
নগরীতে এক গৃহবধূকে হত্যার ঘটনায় জেল খাটছেন তার স্বামী ও ভাসুর। দুই মাস আগে নগরীর ডবলমুরিং থানায় গত বছরের ৪ নভেম্বর এ ঘটনা ঘটে। জামাই-ভাসুর কারাবাস করলেও ওই নারীকে হত্যা করেছেন তার সাবেক প্রেমিক। ঘটনার আড়াই মাস পর এমন তথ্যই উদ্ঘাটন করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। শ্বাসরোধ করে খুনের পর পালিয়ে যাওয়া ওই যুবককে ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার জাকের হোসাইন (২৭) লক্ষ্মীপুর জেলার রামগতি উপজেলার চর আফজাল গ্রামের বাহার উদ্দিনের ছেলে। তবে তারা থাকেন রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার চন্দ্রঘোনা এলাকায়।
জানা গেছে, গত বছর ৪ নভেম্বর রাতে ডবলমুরিং থানার পানওয়ালাপাড়ায় নাছিমা মঞ্জিলের একটি ফ্ল্যাট থেকে গৃহবধূ সুপ্তি মল্লিকের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এর পর তার বাবা সাধন মল্লিক বাদী হয়ে সুপ্তির স্বামী বাসুদেব চৌধুরী ও ভাসুর অনুপম চৌধুরীকে আসামি করে মামলা করেন। পুলিশ তাদের গ্রেপ্তারের পর মামলার তদন্তভার নেয় পিবিআই।
জানা গেছে, ঘটনার রাতে সুপ্তির ফ্ল্যাট থেকে এক যুবককে বের হতে দেখেছিলেন প্রতিবেশীরা। ওই যুবককে টার্গেট করেই তদন্ত শুরু করে পিবিআই। পরে জানা যায়, বিয়ের আগে সুপ্তি একজনের সঙ্গে প্রেম করতেন। সেই যুবকই ঘটনার রাতে ফ্ল্যাট থেকে বের হওয়া যুবক। এ তথ্য পাওয়ার পর জাকেরের অবস্থান শনাক্ত করে গত বৃহস্পতিবার ঢাকার নিশ্চিন্তাপুর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকা-ের দায় স্বীকার করে জাকের আদালতে জবানবন্দি দেন।
তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই পরিদর্শক (মেট্রো) সন্তোষ কুমার চাকমা আমাদের সময়কে বলেন, রাঙামাটিতে সুপ্তি ও জাকেরের বাসা পাশাপাশি। ২০১৪ সাল থেকে তাদের প্রেমের সম্পর্ক। ২০১৮ সালে তারা গোপনে বিয়ে করেন। চার মাস সংসারের পর সুপ্তি তাকে তালাক দিয়ে বাসুদেবকে বিয়ে করেন। কিন্তু গোপন নম্বরের মাধ্যমে মোবাইলে তাদের যোগাযোগ ছিল। ঘটনার রাতে বাসায় কেউ না থাকার সুযোগে জাকের সুপ্তির বাসায় যান। সেখানে পুরনো সম্পর্কের বিষয় নিয়ে ঝগড়া হয়। ঝগড়ার একপর্যায়ে সুপ্তিকে গলায় গামছা পেঁচিয়ে হত্যা করেন জাকের। পরে সুপ্তির দুটি মোবাইল ফোন সেট নিয়ে পালিয়ে ঢাকায় চলে যান। আমরা সেগুলো উদ্ধার করেছি।
পুলিশ কর্মকর্তা সন্তোষ জানান, সেই খুনের মামলায় জেল খাটছেন সুপ্তির স্বামী ও ভাসুর। পুলিশ তাদের গ্রেপ্তারের পর তিন দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদও করে।