শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ১২:২৩ অপরাহ্ন

সুচিত্রা সেনের অজানা ১০

সুচিত্রা সেনের অজানা ১০

স্বদেশ ডেস্ক:

১৭ জানুয়ারি, ২০১৪। না ফেরার দেশে চলে গিয়েছিলেন মহানায়িকা সুচিত্রা সেন। কিন্তু সেই চলে যাওয়া যেন এক শেষের শুরু। ‘সুচিত্রা সেন’ নামটার সঙ্গে জড়িয়ে আছে একটা বিরাট সময়। তার পরতে পরতে বাঁধা পড়ে আছে নস্টালজিয়া। আপামর দর্শক আজও সুচিত্রার সিনেমা দেখালেই টিভির সামনে বসে পড়েন। আজ তার মৃত্যুবার্ষিকীতে আমরা পাঠকদের সামনে তুলে ধরব ১০টি এমন ঘটনা যা অগে হয়তো অনেকেই জানতেন না।

১. আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার জয়ী প্রথম বাঙালি অভিনেত্রী ছিলেন সুচিত্রা সেন। ১৯৬৩ সালে মস্কো চলচ্চিত্র উৎসবে ‘সাত পাকে বাঁধা’ ছবির জন্য এই স্বীকৃতি পান তিনি।

২. বলিউডে শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ‘দেবদাস’ অবলম্বনে বেশ কয়েকটি কাজ হয়েছে। এগুলোতে পার্বতী বা পারু চরিত্রে অভিনয় করেছেন অনেকে। তবে হিন্দি ছবিতে প্রথম এ চরিত্রে দেখা গেছে সুচিত্রা সেনকে।

৩. বলিউডে ‘দেবদাস’ই ছিল সুচিত্রা সেনের প্রথম ছবি। এ ছবিতে পার্বতী চরিত্রে স্মরণীয় অভিনয়ের জন্য সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার পান সুচিত্রা সেন।

৪. সুচিত্রা সেনের ‘আন্ধি’ গুজরাটে মুক্তির পর ২০ সপ্তাহ নিষিদ্ধ ছিল। কারণ তিনি যে চরিত্রে অভিনয় করেছেন তা তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর ছায়া থাকার কারণে বিতর্ক সৃষ্টি হয়। ১৯৭৭ সালে জনতা পার্টি ক্ষমতাসীন হওয়ার পর গুজরাটের সরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে প্রচারিত হয় ছবিটি।

৫. চলচ্চিত্র থেকে সরে দাঁড়ানোর পর স্বেচ্ছায় অন্তরালে চলে যান সুচিত্রা সেন। এর পর থেকে বেশিরভাগ সময় রামকৃষ্ণ মিশনে কেটেছে তার। নির্জন ও নিভৃত জীবনযাপন করায় হলিউড কিংবদন্তি গ্রেটা গার্বোর ব্যক্তিত্বের সঙ্গে তার মিল খুঁজেছেন অনেকে।

৬. উত্তম কুমারের সঙ্গে সুচিত্রা সেনের জুটি বাংলা ছবির ইতিহাসে চিরস্মরণীয়। ১৯৫৩ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘সাড়ে চুয়াত্তর’ ছবিতে প্রথমবার একফ্রেমে দেখা যায় তাদের। তারা একসঙ্গে প্রায় ৩০টি ছবিতে অভিনয় করেন।

৭. সময় ফাঁকা না থাকার কারণে সত্যজিৎ রায়ের ‘চৌধুরানী’ ছবিতে কাজ করতে অপারগতা প্রকাশ করেন সুচিত্রা সেন। এ কারণে অস্কারজয়ী পরিচালক সত্যজিৎ ছবিটি আর বানাননি।

৮. ‘উত্তর ফাল্গুনী’ ছবিতে যৌনকর্মী পান্নাবাই ও তার কন্যা আইনজীবী সুপর্ণার দ্বৈত চরিত্রে অভিনয় করেন সুচিত্রা সেন।

৯. সুচিত্রা সেনই একমাত্র ভারতীয় অভিনয়শিল্পী যিনি দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার গ্রহণে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। পুরস্কারটি পাওয়ার নিয়ম অনুযায়ী নয়াদিল্লিতে যেতে হতো তাকে। কিন্তু তিনি জনসমক্ষে আসতে চাননি।

১০. ১৯৫২ সালে নির্মিত সুচিত্রা সেনের প্রথম বাংলা ছবি ‘শেষ কোথায়’ কখনো মুক্তি পায়নি।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877