স্বদেশ ডেস্ক:
ঝিনাইদহের শৈলকুপায় নদীতে অর্ধপোতা অবস্থায় আলমগীর হোসেন বাবু নামে এক ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার রাত ১টার দিকে উপজেলার দেবতলা নদী থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
এর পাঁচ ঘণ্টা আগে বুধবার রাত ৮টার দিকে ভোটের প্রচারণা চালাতে গিয়ে একই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী শওকত হোসেনের ভাই আওয়ামী লীগ নেতা লিয়াকত হোসেন বল্টু (৫০) নিহত হন।
জানা যায়, ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী শওকত হোসেন ও তার ছোট ভাই আওয়ামী লীগ নেতা বল্টু পৌর এলাকার কবিরপুরের ভূইমালী পাড়াতে প্রচারণা চালাতে গিয়েছিলেন। এ সময় তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী পাঞ্জাবি মার্কার আলমগীর হোসেন বাবুর সমর্থকরা তাকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। হামলার পর গুরুতর আহত বল্টুকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
এই ঘটনার কয়েক ঘণ্টা পর একই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী আলমগীর হোসেন বাবুর লাশ নদীতে পাওয়া যায়। যার সমর্থকদের বিরুদ্ধে বল্টুর ওপর হামলার অভিযোগ ছিল।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, দুটি মৃত্যুর ঘটনায় প্রচার-প্রচারণাকে কেন্দ্র করে। এলাকাবাসী মনে করছেন, একটি ঘটনার জেরে আরেকটি ঘটনা ঘটেছে। এদিকে কাউন্সিলর প্রার্থী বাবুর সমর্থক ও তার পরিবার দাবি করছে, পরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যা করা হয়েছে।
পরপর দুটি মৃত্যুর ঘটনায় শৈলকুপা পৌরসভার ভোটারদের মাঝে চরম উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে। শহরসহ পৌর এলাকার সর্বত্র পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। মোড়ে মোড়ে পুলিশ চেকিং চলছে।
শৈলকুপা থানার ওসি জাহাঙ্গীর আলম জানান, কমিশনার প্রার্থী আলমগীর হোসেন বাবুর লাশ নদী থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। এখনো ওই কাউন্সিলর প্রার্থীর মৃত্যু সম্পর্কে কিছু জানা যায়নি। তদন্তের পর তার মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে জানা যাবে।
শৈলকুপা থানার এসআই আমিরুজ্জামান জানান, ধারণা করা হচ্ছে আলমগীর হোসেন বাবুর মৃত্যু স্বাভাবিকভাবেই হয়েছে। নদী পার হওয়ার সময় হার্ট অ্যাটাকে তার মৃত্যু হতে পারে বলে তিনি জানান।