স্বদেশ ডেস্ক:
ভোট চোরদের প্রতিরোধ করার জন্য লাঠি-জুতা নিয়ে তৈরি থাকতে বললেন ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই বসুরহাট পৌরসভায় মেয়রপ্রার্থী আব্দুল কাদের মির্জা। আজ বুধবার সকালে বসুরহাট পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডে এক নির্বাচনী কর্মী সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
আব্দুল কাদের মির্জা বলেন, ‘লাঠি তৈরি করে রেখেছেন তো? ভোট চুরি করতে আসলে ওই লাঠি দিয়ে পায়ের হাঁটুর নিচে মারবেন। পারবেন তো আপনারা? পায়ের জুতা পুরোনোগুলো নিয়ে যাবেন। কারণ নতুন জুতা দিয়ে মারলে হবে না। পুরোনো জুতা-স্যান্ডেল দিয়ে ভোট চোরদেরকে মারতে হবে। যেই হোক রাস্তায় বাধায় দিলে, ভোট কেন্দ্রে বিটলামী করলে এ ব্যবস্থা প্রয়োগ করবেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমার ভোট প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য তথাকথিত আওয়ামী লীগাররা নোয়াখালীর বিএনপির সাবেক মেয়র হারুনকে ৫০ লাখ টাকা দিয়ে বসুরহাট পাঠিয়েছে বিএনপির মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীদেরকে দেওয়ার জন্য। মারামারি-দাঙ্গা-হাঙ্গামা বাধিয়ে নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য। কারণ আমি বলছি নিরপেক্ষ ভোট হবে। আর ষড়যন্ত্রকারীরা মারামারি ও দাঙ্গা বাধিয়ে প্রচার করবে এখানে ভোট সুষ্ঠু হয়নি, রক্তপাত হয়েছে।’
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদকের ছোট ভাই বলেন, ‘আগে চেষ্টা করেছে আমাকে পরাজিত করার জন্য। তারা দেখেছে আমাকে হারানো সম্ভব নয়, এখন ষড়ষন্ত্রের ধরণ পাল্টে এসব করছে। কেবল আমার বিরুদ্ধে নয়, আমাদের দলীয় কাউন্সিলর প্রার্থীদের বিরুদ্ধেও ষড়যন্ত্র চলছে।’
তিনি বলেন, ‘ভোটের দিন দুপুর ১২টা হয়ত বিএনপির মেয়র প্রার্থী কামাল চৌধুরী বলবে কারচুপি হয়েছে, আমি ভোট বর্জন করলাম। বিএনপির প্রত্যশাই এটা। আরেক প্রার্থী জামায়াতের মোশারফের কথা আমি জানি না। এরা সবাই টাকা পয়সা খেয়ে ভোটে রঙ লাগানোর চেষ্টা করছে। এসব ব্যাপারে আমাদের সকলকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। আমিও অনেক ভুলভ্রান্তি করেছি অনেক ত্রুটি-বিচ্যুতি হয়েছে। এটা আর চলতে দেওয়া যায় না।’
আওয়ামী লীগের দলীয় এই মেয়রপ্রার্থী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা দিয়েছেন ভোট ও ভাতের অধিকারের জন্য। শেখ হাসিনা ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠিত করেছেন। কিন্তু ভোটের অধিকার এখনো প্রতিষ্ঠিত হয়নি। সে হাসিনাই মানুষের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে পারবেন। আমি নোয়াখালী ও ফেনীর আঞ্চলিক রাজনীতি, অনিয়ম, সন্ত্রাস, দুনীতি ও লুটপাটের কথা বলি। আর ষড়যন্ত্রকারীরা এটিকে জাতীয় রাজনীতির দিকে নিয়ে যায়।’