স্বদেশ ডেস্ক: ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচে) চিকিৎসাধীন জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের পাশে কোরআন তেলাওয়াত ও দোয়া করেছেন তার স্ত্রী রওশন এরশাদ এমপি। এ সময় পরিবারের অন্যান্য সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন। আজ শনিবার দুপুর ১টা থেকে প্রায় এক ঘণ্টা তারা সিএমএইচে অবস্থান করেন।
সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি খন্দকার দেলোয়ার জালালী বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, সংসদে বিরোধদলীয় উপনেতা ও জাপার সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান রওশন এরশাদের সঙ্গে ছিলেন ছেলে রাহগীর আল মাহি এরশাদ, মেয়ে মেহজাবিন এরশাদ ও পুত্রবধূ মাহিমা।
সিএমএইচ থেকে বের হয়ে রওশন এরশাদ বলেন, ‘হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের জন্য প্রয়োজন আল্লাহর রহমত ও মানুষের দোয়া।’ তিনি এরশাদের রোগমুক্তি ও সুস্থতা কামনায় দেশবাসীর কাছে দোয়া প্রার্থনা করেন।
এ সময় জাতীয় পার্টির সাবেক মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদারসহ দলের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরাও উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে আজ দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে এরশাদের শারীরিক অবস্থার সর্বশেষ তথ্য জানিয়েছেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদের। তিনি বলেন, উনার (এরশাদ) অবস্থা আগের চেয়ে অনেকটা ভালোর দিকে, আগে যে জ্বালা-যন্ত্রণাটা তিনি পাচ্ছিলেন, এখন আর সেটা নেই। তবে ডাক্তাদের ভাষ্যে, “উনি এখনও আমাদের হাত ধরে হাঁটছেন, হাত ছেড়ে দিলে ওনি পড়ে যাবেন। যেদিন হাত ছেড়ে দিয়ে উনি হাঁটতে পারবেন, সেদিন বলা যাবে উনি সুস্থ হয়েছেন। অর্থাৎ উনার অবস্থা এখনো শঙ্কামুক্ত নয়, অবস্থা যেকোনো সময় যেকোনো দিকে যেতে পারে”।’
এর আগে গত ২৬ জুন সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচে) ভর্তি করা হয় হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে। ৯০ বছর বয়সী জাপার চেয়ারম্যান রক্তে সংক্রমণ ছাড়াও লিভার জটিলতায় ভুগছেন।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে হঠাৎ গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তখন তার রক্তে হিমোগ্লোবিন ঘাটতির কথা জানান চিকিৎসকরা। পরে সিঙ্গাপুরে গিয়ে চিকিৎসা করিয়ে আসেন এরশাদ। তাতেও পুরোপুরি সুস্থ হয়ে ওঠেননি তিনি।