স্বদেশ ডেস্ক: ইরান যুক্তরাজ্য কর্তৃক জিব্রালটার প্রণালীতে আটককৃত তেলের ট্রাংকারটি দ্রুত ছেড়ে দেয়ার দাবি জানিয়েছে। ইরানের অভিযোগ যুক্তরাষ্ট্রের নির্দেশে ট্যাংকারটি আটক করা হয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রনালয়ের এক জেষ্ঠ্য কর্মকর্তা যুক্তরাজ্যের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে এক বৈঠকে ‘যুক্তরাজ্যের এ ধরনের উদ্যোগ অগ্রহণযোগ্য’ বলে বর্ণনা করেন। রাষ্ট্রদূত ইরানের আমন্ত্রনে এ বৈঠকে মিলিত হন।
বিবৃতিতে আরো উল্লেখ করা হয়, তিনি (কর্মকর্তা), রাষ্ট্রদূতকে যত দ্রুত সম্ভব ট্যাংকারটি ছেড়ে দেয়ার আহ্বান জানান। সাম্প্রতিক প্রচারিত এ সংক্রান্ত তথ্যের ভিত্তিতে যুক্তরাষ্ট্রের অনুরোধে ট্যাংকারটি আটক করা হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
জিব্রালটার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ট্যাংকারটি ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)-এর নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে অশোধিত তেল নিয়ে সিরিয়ার দিকে যাচ্ছিল।
গ্রেস-১ নামক ৩৩০ মিটার (১০০০ মিটার) দীর্ঘ ট্যাংকারটি এমন এক সময় আটক করা হয়ে যখন ইরান-ইউ সম্পর্কে টানাপোড়েন চলছিল।
গ্রেস-১ ট্যাংকারটি বৃহস্পতিবার ভোরে ব্রিটিশ রয়্যাল মেরিনস-এর বিশেষ দায়িত্বপ্রাপ্ত সেনার সহায়তায় জিব্রালটারের পুলিশ কাস্টমস এজেন্সি আটক করে।
জাহাজটি জিব্রালটারের দুই দশমিক পাঁচ মাইল দক্ষিণে আটক করা হয়। জাহাজটি ব্রিটিশ জল সীমায় প্রবেশ করায় এটিকে আটক করা হয়েছে। তবে স্পেন এ কে স্পেনের সিমানা বলে দাবি করে।
শিপিং এজেন্সিগুলো নির্দিষ্ট কিছু জায়গায় গতি কমিয়ে মালামাল পারাপার করে।
জিব্রালটার মুখ্যমন্ত্রী ফাবিয়ান পিকার্দো এক বিবৃতিতে বলেন, ‘আমাদের মনে করার যথেষ্ট কারণ আছে যে, গ্রেস ওয়ান অশোধিত তেল নিয়ে সিরিয়ার বেনিয়াস রিফাইনারির দিকে যাচ্ছিল।’
পিতার্দো বলেন, ‘ আমরা জাহাজ ও এর মালপত্র আটক করি।’
স্পেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জোসেপ বোরেল সাংবাদিকদের বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের অনুরোধে জাহাজটি আটক করা হয়।
ব্রিটেনের পররাষ্ট্র দপ্তরের এক বিবৃতিতে বলা হয়,‘ আমরা জিব্রালটার কর্তৃপক্ষের এই বলিষ্ঠ কর্মকান্ডকে স্বাগত জানাই।