বুধবার, ১৫ মে ২০২৪, ০৪:৫২ পূর্বাহ্ন

সেই তামিম এই তামিম

স্পোর্টস ডেস্ক: ২০১০ সালের মে। বাংলাদেশ লর্ডসে টেস্ট খেলতে এসেছিল। প্রথম ইনিংসে ৫৫ রান করে আউট হয়ে যান তিনি। পরের ইনিংসে একেবারে পাগলা ঘোড়ায় সওয়ার হন তিনি। উইকেটের চারদিকে স্ট্রোকের পসরা সাজিয়ে বসেন। ফিন, অ্যান্ডারসন ও ব্রেসনানের ঘাম ঝরান তিনি। টেস্ট তো নয়! যেন ওয়ানডে খেলেছিলেন তিনি। ১০০ বলে ১০৩ রান করেছিলেন তামিম। সেঞ্চুরি পূরণ হতেই পিঠে ইঙ্গিত করেন।

তামিম বোঝাতে চেয়েছিলেন, ‘আমার নামটি লিখে রাখো তোমাদের অর্নাস বোর্ডে! এই বিশ্বকাপে ৭ ম্যাচে ২২৭ রান তামিমের। এ মুহূর্তে তিনি বেশ চাপে আছেন। বার্মিংহামের এজবাস্টনে ভারতের ম্যাচে ক্যাচ ফেলেছিলেন তিনি রোহিতের। এ ম্যাচটিতে রোহিত সেঞ্চুরি করেন। আর ব্যাটিংয়ে গিয়ে তামিম স্কোর বড় করতে পারেননি। এ বিশ্বকাপে তামিমের ব্যাটিং গড় ৩২.৪২। একেবারে ফেলে দেওয়ার মত নয়। বাংলাদেশ ম্যাচ জিততে পারছে না বলেই কথা উঠছে তার ভূমিকা নিয়ে।

ম্যানেজমেন্টের সিদ্ধান্তেই তামিম আগ্রাসী হয়ে খেলতে পারছেন না। ২০১০ সালের ওই তামিমকে এখন কিছুটা অপরিচিত লাগে বটে। এর কারণ তিনি টিম ম্যানেজমেন্টের কথামতো খেলেন। আজ আরও একজনের স্মৃতিবিজড়িত মাঠ এই লর্ডস। তিনি পাকিস্তানের বাঁহাতি পেসার মোহাম্মদ আমির। স্পট ফিক্সিং ৬ উইকেট শিকার করে কমবয়সী হিসেবে অনার্স বোর্ডে নাম লেখানো। ফিক্সিংয়ের সাজা খেটে এসে আবার লর্ডসে টেস্ট জয়। আজ বাংলাদেশি ওপেনার তামিমের সঙ্গে আমিরের লড়াইটাও জমবে বেশ।

তামিম বিশ্বকাপের শেষটা রঙিনভাবে শেষ করতে চাইবেন। কাল তামিম এই মাঠে এসেছিলেন। আর এসেই অনুশীলনে নেমে পড়েন। বারবার অর্নাস বোর্ডে নিজের নামটি দেখছিলেন। ক্রিকেটে কোনো একদিন তিনি হয়তো থাকবেন না। এই নাম থেকে যাবে অনন্তকাল। হয়তো তামিম কোনো দিন কোচ হিসেবে আসবেন এই মাঠে। তখন অনার্স বোর্ডে নামটি দেখতে তার কেমন লাগবে! এসব নানা চিন্তা মাথায় গিজ গিজ করছিল তার! তবে বিশ্বকাপের শেষ ম্যাচে জ্বলে ওঠার প্রত্যয় মনে রয়েছে খান সাহেবের।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877