স্বদেশ ডেক্স: গ্যাসের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত স্থগিত চেয়ে কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সম্পূরক আবেদনের শুনানির জন্য আগামী (৯ জুলাই) মঙ্গলবার দিন ঠিক করেছেন হাইকোর্ট।
পেট্রোবাংলার আইনজীবীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ বৃহস্পতিবার বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
আদালতে সম্পূরক আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার জ্যোর্তিময় বড়ুয়া। পেট্রোবাংলার পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার আশরাফ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার এবিএম আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।
এর আগে গত ১ জুলাই গ্যাসের দাম বাড়ানোর পরে তা স্থগিত চেয়ে হাইকোর্টে সম্পূরক আবেদন করে কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)। ক্যাবের পক্ষ থেকে করা আগের রিটের সঙ্গে সম্পূরক আবেদন করেন আইনজীবী ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া।
ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া বলেন, প্রথমবার গ্যাসের দাম বৃদ্ধির আদেশের বিরুদ্ধে রিট করলে হাইকোর্ট রুল জারি করেন। ওই রুল বিচারাধীন থাকা অবস্থায় আবারও গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধির প্রস্তাব করে গত ১১ মার্চ থেকে ১৪ মার্চ পর্যন্ত গণশুনানি গ্রহণ বেআইনি।
আবেদনে বলা হয়, ২০১০ সালের আইনে গ্যাসের বিতরণ ও সঞ্চালন সংক্রান্ত প্রবিধান মালায় গ্যাসের দাম বৃদ্ধির ক্ষেত্রে কতগুলো সুনির্দিষ্ট প্রক্রিয়া অনুসরণের কথা বলা আছে। কিন্তু এসব প্রক্রিয়া অনুসরণ না করেই অযৌক্তিকভাবে গ্যাসের দাম বাড়িয়েছে পেট্রোবাংলা ও বিইআরসি।
এর আগে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি গ্যাসের দাম বৃদ্ধির প্রক্রিয়া স্থগিত চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করে ক্যাব। ক্যাবের আবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) গত বছরের ১৬ অক্টোবর গ্যাসের সঞ্চালন ও বিতরণ ফি বৃদ্ধির আদেশ দিয়েছিল। এ আদেশের বিরুদ্ধে রিট করলে হাইকোর্ট রুল জারি করেন।
ওই রুল বিচারাধীন থাকা অবস্থায় আবারও গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধির প্রস্তাব করে গত ১১ মার্চ থেকে ১৪ ই মার্চ পর্যন্ত গণশুনানি গ্রহণ বেআইনি।
উল্লেখ্য, গত ১ জুলাই থেকে গ্যাসের দাম বাড়ানো হয়। এক চুলার দাম ৭৫০ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ৯২৫ টাকা। আর দুই চুলা ৮০০ থেকে হয়েছে ৯৭৫ টাকা। এ ছাড়া গৃহস্থালি কাজে মিটারভিত্তিক গ্রাহকদের জন্য দাম বেড়েছে ঘনমিটার প্রতি ১২ টাকা ৬০ পয়সা। গড়ে প্রতি ঘনমিটারে বেড়েছে ৯ টাকা ৮০ পয়সা।