স্বদেশ ডেক্স: বরগুনার নয়নবন্ড একদিনে তৈরি হয়নি, তাকে কেউ না কেউ লালন-পালন করে সন্ত্রাসী বানিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন হাইকোর্ট। এ সময় আদালত আরও বলেন, আমরা বিচার বর্হিভূত হত্যা পছন্দ করি না।
বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) রিফাত হত্যা মামলায় বরগুনা জেলা প্রশাসক ও পুলিশের প্রতিবেদন তুলে ধরলে এই মন্তব্য করেন বিচারপতি এফআরএম নাজমুল হাসান ও বিচারপতি কেএম কামরুল কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চ।
এসময় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার আদালতকে সর্বশেষ আসামি গ্রেফতারের অবস্থা সম্পর্কেও জানান।
আইনজীবী জানান, এ মামলায় ১২ আসামির মধ্যে ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এজাহারের বাইরেও কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মামলার মূল আসামি যিনি নয়ন বন্ড নামে পরিচিত তাকে ধরার সময় তিনি পুলিশের গুলিতে মারা গেছে।
এসময় আদালত বলেন, কিভাবে মারা গেল? তখন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী বলেন, পুলিশের কাছে গোপন সংবাদ ছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ ধরতে গেলে সে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। তখন আইন শৃঙ্খলা বাহিনী পাল্টা গুলি ছুড়লে তিনি মারা যান।
এর আগে, বরগুনায় রিফাত শরীফকে প্রকাশ্যে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যায় জড়িতরা যাতে পালাতে না পারে সেজন্য সীমান্ত এলাকায় রেড অ্যালার্ট জারির নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। গত ২৭ জুন বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহসান ও বিচারপতি কামরুল কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
একই সঙ্গে ওই ঘটনায় কী অ্যাকশন (পদক্ষেপ) নেয়া হয়েছে তা দুপুরের মধ্যে জানতে চান আদালত।
এদিকে সকালে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল এ হত্যার ঘটনায় প্রকাশিত বিভিন্ন পত্রিকার প্রতিবেদন হাইকোর্টের নজরে আনলে আদালত রিফাত হত্যায় বরগুনার ডিসি-এসপির পদক্ষেপ সম্পর্কে জানতে চান হাইকোর্ট।