বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ০৬:২৪ পূর্বাহ্ন

দায়িত্ব ছাড়ার পর কী করবেন ট্রাম্প?

দায়িত্ব ছাড়ার পর কী করবেন ট্রাম্প?

স্বদেশ ডেস্ক:

এক সাক্ষাৎকারে ডোনাল্ড ট্রাম্পের জীবনীকার মাইকেল ডি’অ্যান্টোনিও জানান তার মতে, সদ্য নির্বাচনে হেরে যাওয়া মার্কিন প্রেসিডেন্ট টেলিভিশন ক্যারিয়ারে নতুন জোয়ার আনতে পারেন৷

ডি’অ্যান্টোনিও মনে করছেন, প্রেসিডেন্ট পদ থেকে সরে যাওয়ার পর নিজের আলাদা টেলিভিশন নেটওয়ার্ক চালু করবেন ট্রাম্প৷

ট্রাম্পের জীবনের ওপর ভিত্তি করে দুটি বই লিখেছেন মার্কিন সাংবাদিক ও পুলিৎজার পুরস্কারপ্রাপ্ত লেখক মাইকেল ডি’অ্যান্টোনিও৷ বহু বছর ধরে তিনি রীতিমত কাছ থেকে দেখে আসছেন বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্টকে৷ সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর কথা বলেন তিনি৷

সেখানে মাইকেল জানান, ভবিষ্যতে রাজনীতি নয়, টেলিভিশনের পর্দাতেই জমি শক্ত করতে দেখা যেতে পারে ট্রাম্প ও তার পরিবারকে৷

‘‘২০০০ সাল থেকেই কিন্তু ট্রাম্পের আয়ের মূল উৎস হয়ে উঠেছে টেলিভিশন৷ তাছাড়া নির্বাচনি প্রচারকালীন ট্রাম্পের অঙ্গভঙ্গি ও প্রচারের ধরণ থেকে স্পষ্ট বোঝা যায় যে আসলেই ট্রাম্প কত বড় একজন পারফর্মার,” বলেন ডি’অ্যান্টোনিও৷

তাছাড়া ট্রাম্পের টেলিভিশনে নতুন জোয়ার আনার পেছনে বড় লাভের হিসাবও থাকতে পারে৷ ডি’অ্যান্টোনিও মনে করছেন, প্রেসিডেন্ট পদ থেকে সরে যাওয়ার পর নিজের আলাদা টেলিভিশন নেটওয়ার্ক চালু করবেন ট্রাম্প৷ আর তা অবশ্যই লাভজনক একটি বিনিয়োগ হবে বলে মনে করছেন ডি’অ্যান্টোনিও৷

ভোটের হিসাব অনুযায়ী, ট্রাম্প মোট সাত কোটি মানুষের ভোট পেয়েছেন, যা প্রায় তিন কোটি পরিবারের মোট ভোটের সংখ্যা হতে পারে৷ আর এই তিন কোটি পরিবার যদি ট্রাম্পের নতুন টেলিভিশন নেটওয়ার্কের জন্য গড়ে এক ডলারও প্রতিমাসে খরচ করে, তাহলেই স্পষ্ট হয়ে যায় যে, এই উদ্যোগ থেকে ঠিক কতটা লাভ করতে পারবেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট৷ এই অনুমানে পৌঁছতে ডি’অ্যান্টোনিও মাথায় রাখছেন ট্রাম্পের ব্যবসায়িক ইতিহাস, যা তিনি গভীরভাবে লক্ষ্য করেছেন৷

পর্দায় ট্রাম্প, গবেষণায় নয়
ইতিহাস বলে, মার্কিন প্রেসিডেন্টরা ক্ষমতা ছাড়ার পরেও জনসাধারণের জন্য তাদের কর্মকাণ্ডকে উন্মুক্ত রাখতে পছন্দ করেন৷ এজন্য প্রত্যেক প্রেসিডেন্টই তাদের শাসনমেয়াদ শেষে একটি ‘প্রেসিডেন্সিয়াল লাইব্রেরি’ বানান ও সেখানে তাদের শাসনকালের সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ নথি রেখে দেন, যেন সেগুলো ভবিষ্যতে গবেষণার কাজে লাগতে পারে৷

কিন্তু ট্রাম্পও যে এই পথে হাঁটবেন, তা নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না ডি’অ্যান্টোনিও৷ তার মতে, ট্রাম্পের জন্য নির্দিষ্ট একটি জাদুঘর বা পাঠাগার তৈরি হলে তাতে কী কী রাখা হবে, সেটা তার কাছে এখনো পরিষ্কার নয়৷

তবে মাইকেল ডি’অ্যান্টোনিও এব্যাপারে নিশ্চিত যে শুধু ট্রাম্পই নয়, বরং তার গোটা পরিবারই ট্রাম্প-শাসনের মেয়াদ ফুরোলে ‘পলিটিক্যাল এন্টারটেইনমেন্ট’ জগতে পা রাখবেন৷ আর যেহেতু ট্রাম্প অ্যামেরিকার একটি অংশের মানুষের মানসিকতার প্রতিনিধিত্ব করে আসছেন, ফলে সেই অংশের কাছে ট্রাম্পের গ্রহণযোগ্যতা কোনোভাবেই কমবে না, মনে করেন মাইকেল৷ বরং, নির্বাচনে হারকেও নিজের বিরোধীগোষ্ঠীদের চক্রান্ত হিসাবে দেখিয়ে তা আখেরে নিজের টেলিভিশন ক্যারিয়ারে কাজে লাগাতে পারেন ট্রাম্প৷

সূত্র : ডয়চে ভেলে

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877