স্বদেশ ডেস্ক: বিশ্বে এ যাবৎকাল ধারণকৃত তাপমাত্রা অনুযায়ী চলতি বছরের জুন ছিল সবচেয়ে উষ্ণতম মাস। ইইউ স্যাটেলাইট এজেন্সির এক ঘোষণায় এ তথ্য জানানো হয়েছে বলে গতকাল যুক্তরাজ্যের প্রভাবশালী দৈনিক ইনডিপেনডেন্টের অনলাইন সংস্করণে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ইইউ স্যাটেলাইট এজেন্সির অধীনে ইউরোপিয়ান সেন্টার ফর মিডিয়াম-র্যাঞ্জ ওয়েদার ফোরকাস্টস বৈশ্বিক গড় তাপমাত্রা নিয়ে গবেষণা করছে। এতে তথ্য-উপাত্ত দিয়ে সহায়তা করছে কপারনিকাস ক্লাইমেট চেঞ্জ সার্ভিস। তাদের দেওয়া তথ্যে দেখা গেছে, জুন মাসে, বিশেষ করে মাসটির শেষ দিনগুলোতে ইউরোপের গড় তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি ছিল।
আর ফ্রান্স, জার্মানি ও স্পেনের তাপমাত্রা ছিল স্বাভাবিকের চেয়ে ৬-১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি। বিশ্বে এর আগে রেকর্ড উষ্ণতা ছিল ২০১৬ সালের জুন মাসে; কিন্তু এ বছরের জুনে সেই তাপমাত্রার চেয়ে শূন্য দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি ছিল। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে গোটা ইউরোপে তীব্র তাপপ্রবাহ দেখা যাচ্ছে। প্রবল গরমের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে তাপপ্রবাহ। দিন যত যাচ্ছে, তত খারাপ হচ্ছে পরিস্থিতি।
ইতোমধ্যে ফ্রান্সে তাপমাত্রার সর্বোচ্চ রেকর্ড হয়েছে। সেখানে তাপমাত্রা দাঁড়িয়েছে ৪৫ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। তথ্য বলছে, ২০০৩ সালে ফ্রান্সে তাপমাত্রার রেকর্ড ছিল ৪৪ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যার ফলে ওই সময় সে দেশে মৃত্যু হয়েছিল হাজার হাজার মানুষের। এবারও পরিস্থিতি সেদিকেই এগোচ্ছে বলে ইতোমধ্যে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন আবহাওয়াবিদরা। বিবিসি জানিয়েছে, এবারের তাপমাত্রা সে রেকর্ড ছাড়িয়ে যাওয়ায় প্রত্যেকেই ঝুঁকির মধ্যে আছে। ফ্রান্সসহ জার্মানি, পোল্যান্ড এবং চেক প্রজাতন্ত্রের মতো দেশগুলোতেও তাপমাত্রা রেকর্ড গড়েছে।
চলতি জুনে তাপমাত্রা আগের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। আগামী দিনে পরিস্থিতি আরও বিপজ্জনক অবস্থায় পতিত হবে। তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে স্পেনের কাতালানিয়া রাজ্যে ২০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ দাবানলে বিস্তীর্ণ বনাঞ্চল পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। সেখানে দমকলকর্মীদের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হয়েছে। স্পেনের আটটি প্রদেশে জারি হয়েছে রেড এলার্ট। ইতালিতেও ১৬টি শহরে তাপমাত্রা জরুরি অবস্থার পর্যায়ে পৌঁছেছে বলে খবর পাওয়া গেছে।