স্বদেশ ডেক্স: নাটোরে জ্যোতি ছাত্রী নিবাসে কেরোসিন চুলা বিস্ফোরণে অগ্নিদগ্ধ এন এস সরকারি কলেজের তিন ছাত্রীর মধ্যে সানজিদা ইয়াসমিন সন্ধ্যা নামে একজন মারা গেছেন। আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ণ ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা যায।
নিহত সানজিদা নাটোরের লালপুর উপজেলার আড়বাব ইউনিয়নের বড়বিলশা গ্রামের সাহাবুল ইসলামের মেয়ে ও নাটোর নবাব সিরাজ-উদ দৌলা সরকারি কলেজের বিজ্ঞান বিভাগের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী।
লালপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ইছাহাক আলী জানান, আজ সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজের বার্ণ ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সানজিদা মারা যায়।
সানজিদার বাবা কৃষক সাহাবুল ইসলাম জানান, তিনি তার মেয়েকে উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত করতে চেয়েছিলেন। স্বপ্ন দেখতেন তার মেয়ে একদিন সরকারের বড় কর্মকর্তা হবে। কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে সে চলেই গেল পৃথিবী ছেড়ে।
গত ২৭ জুন সকালে নাটোর শহরের উত্তর বড়গাছা এলাকায় জ্যোতি ছাত্রী নিবাসে দুই সহপাঠী শামিমা ও ফাতেমাতুজ্জোহার সঙ্গে কেরোসিনের চুলায় রান্না করছিল সানজিদা। এ সময় হঠাৎ চুলাটি বিস্ফোরিত হলে ওই তিন ছাত্রী দগ্ধ হয়।
পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে নাটোর সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে সানজিদা ও শামিমাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য সানজিদাকে ঢামেকের বার্ণ ইউনিটে ভর্তি করা হয়।