স্বদেশ ডেস্ক: ২০১৫ সালের শুমারিতে সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যা ১০৬টি থাকলেও ২০১৮ সালে ক্যামেরা ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে পরিচালিত জরিপে বাঘের সংখ্যা ১১৪টি। সরকারি দলের সদস্য মমতাজ বেগমের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী পরিবেশ, বন ও জলবায়ু মন্ত্রী শাহাব উদ্দিন জানান, দিন দিন সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এছাড়াও সুন্দরবনে সুন্দরী গাছের পরিমাণ কিছুটা কমতি থাকলেও গেওয়া গাছের পরিমাণ তুলনামূলক বাড়ছে। ফরেস্ট ইনভেনটরি ১৯৮৫, ১৯৯৫ ও ২০১৩ সালের প্রতিবেদন অনুযায়ী সুন্দরবনে এককভাবে সুন্দরী গাছ যথাক্রমে ২০ শতাংশ, ১৮ দশমিক ২০ শতাংশ এবং ১৮ দশমিক ভূমি বন আচ্ছাদিত আছে। সুন্দরবন রক্ষায় ৪৫৯ কোটি ৯২ লাখ ৫৬ হাজার ৯০০ টাকার পাঁচ বছর মেয়াদি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। পয়লা জুলাই এ প্রকল্পের কাজ শুরু হবে। ওয়ার্কার্স পার্টির সংসদ সদস্য লুৎফুন নেসা খানের প্রশ্নের জবাবে মো শাহাব উদ্দিন জানান, সুন্দরবনের নিকটতম স্থানগুলোতে শিল্পপ্রতিষ্ঠান কর্তৃক যাতে পরিবেশ দূষণ না হয়, সেজন্য পরিবেশ অধিদফতর এসব শিল্পকারখানা নিয়মিত পরিবীক্ষণ করছে এবং উদ্যোক্তাগণকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ প্রদান করছে। সুন্দরবনের নিকটতম স্থানে এলপিজি প্লান্টসহ বেশ কিছু শিল্পপ্রতিষ্ঠান থাকলেও সেগুলো দূষণকারী শিল্পপ্রতিষ্ঠান নয় বলে তিনি জানান। সরকারি দলের সদস্য এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে বনমন্ত্রী জানান, জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের জন্য সরকার ৪৮টি সংরক্ষিত এলাকা ঘোষণা করেছে। এর মধ্যে বন্যপ্রাণীর অভয়ারণ্য এলাকা ২০টি, জাতীয় উদ্যান ১৯টি, ইকোপার্ক ৩টি, বিশেষ জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ এলাকা ২টি, সাফারি পার্ক ২টি, এভিয়ারি ইকোপার্ক একটি ও মেরিন পার্ক একটি।