বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫, ১০:৪৩ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
অটোপাসের দাবিতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের ওপর হামলা র‌্যাবকে অতীত ভুলে নতুন উদ্যমে কাজ করার আহ্বান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার আছিয়াকে ধর্ষণ ও হত্যা : হিটু শেখের ডেথ রেফারেন্সের নথি হাইকোর্টে ‘নির্দেশ একটাই রাজপথ ছেড়ে উঠে আসা যাবে না’ সিইসিসহ ৫ ইসির পদত্যাগ না করা পর্যন্ত বিক্ষোভ চলবে: এনসিপি স্ত্রী-মেয়েসহ আব্দুর রাজ্জাকের ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে মাছ রপ্তানি বন্ধ দ্রুত নির্বাচনসহ ৩ দাবিতে প্রধান উপদেষ্টাকে অস্ট্রেলিয়ার ৪৩ সিনেটর-এমপির চিঠি শিশুদের হাতে হাতে নিম্নমানের বই ‘টুকরো টুকরো হওয়ার শঙ্কায় সিরিয়া, গৃহযুদ্ধ আসন্ন’

স্টোর অফিসার শত কোটি টাকার মালিক…!

স্বদেশ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ২ জুলাই, ২০১৯

স্বদেশ ডেস্ক: ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানে স্টোর অফিসার। মাত্র ২৪ বছর বয়সে বিলাসবহুল গাড়ি ও বাড়িসহ শত শত কোটি টাকার মালিক বনে গেছে। আওলাদ হোসেন জনি নামে এই স্টোর অফিসার রেলওয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান তমা গ্রুপ অ্যান্ড কনস্ট্রাকশনে চাকরি করে। বাংলাদেশ রেলওয়ের লাকসাম-আখাউড়া ডাবল লাইন নির্মাণ প্রকল্পের পাথর সরবরাহ কাজে সাব-কনট্রাক্টরদের জিম্মি করে কোম্পানির একজন বড় কর্মকর্তার যোগসাজশে নিম্ন মানের পাথরের ভুয়া বিল পত্র তৈরি করে জনি এই কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছে বলে দুর্নীতি দমন কমিশন অভিযোগপত্র দাখিল করেছ। অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, নরসিংদী জেলার পলাশ উপজেলার ঘোড়াশাল টেঙ্গরপাড়ার জাহাঙ্গীর ড্রাইভারের পুত্র এই আওলাদ হোসেন জনি টঙ্গী-ভৈরব ডাবল লাইন নির্মাণ প্রকল্পের ঠিকাদার তমা গ্রুপ অ্যান্ড কন্সট্রাকশন কোম্পানিতে লেবার সুপারভাইজার হিসেবে চাকরি নেয়। গত দুই বছর আগে লাকসাম আখাউড়া-ডাবল লাইন নির্মাণ প্রকল্পের কাজ শুরু হবার পর কোম্পানি কর্তৃপক্ষ আওলাদ হোসেন জনিকে সেখানকার সাব-কন্ট্রাক্টরদের সরবরাহকৃত পাথরের বিলপত্র তৈরি করার দায়িত্ব দিয়ে পাঠায়। প্রাপ্ত তথ্যমতে এই প্রকল্পে কমবেশী ১৩ শত কোটি টাকা মল্যের ৭০ লক্ষ স্কয়ার ফুট পাথর সরবরাহের জন্য অন্তত ১০/১৫ জন সাব-কন্ট্রাক্টর নিয়োগ দেয় কোম্পানি কর্তৃপক্ষ। অভিযুক্ত আওলাদ হোসেন জনির দায়িত্ব ছিল সাব-কনট্রাক্টরদের পাথরের ট্রাকের সংখ্যা, পাথরের মানসহ পরিমাণের হিসেব রেখে বিলপত্র তৈরি করে কোম্পানির ঢাকা অফিসে পাঠানো। কিন্তু জনি সেখানে গিয়ে সাব-কনট্রাক্টরদেরকে বিল কাটার ভয় দেখিয়ে জিম্মি করে তাদের নিকট থেকে মোটা অংকের টাকা ঘুষ আদায় করে ভুয়া বিলপত্র তৈরি করে কোম্পানিতে পাঠায়। ঠিকাদাররা ১০ ট্রাক পাথর পাঠালে সে ১২ ট্রাক পাথরের বিল করে ২ ট্রাক পাথরের বিল সে নিজে নিয়ে নেয়। শুধু তাই নয়, টাকার নেশায় উন্মত্ত হয়ে জনি বেনামে ঠিকাদার সাজিয়ে নিজেই পাথর সরবরাহ শুরু করে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী হয়ে নিজেই ঠিকাদার সেজে পাথর সরবরাহ করে রাতারাতি কোটি কোটি টাকার মালিক বনে যায়। আর এ থেকেই শুরু হয় তার বিলাসবহুল জীবন। সে কয়েক কোটি টাকা ব্যয় করে ঘোড়াশাল টেঙ্গরপাড়া গ্রামে নির্মাণ করে এক চোখ ধাঁধানো বিলাসবহুল বাড়ি। যার এক একটি দরজার মল্য দুই থেকে আড়াই লাখ টাকা। একেকটি ঝাড়বাতির মল্য এক থেকে দেড় লক্ষ টাকা। বিলাসবহুল গাড়ি ও উন্নত লাইফ-স্টাইল কোনো কিছুরই কমতি নেই। অভিযোগের ভিত্তিতে সাংবাদিকগণ তার বাড়ি গিয়ে তাকে খুঁজে পায়নি। হঠাৎ উন্নতির কারণ জিজ্ঞাসা করলে তার মা এবং ভাই অকপটে স্বীকার করে যে তারা গরিব ছিল। তার ছেলে জনি পাথরের ব্যবসা করে এত টাকার মালিক হয়েছে। এ ব্যাপারে জনির জানান, তার বাবার ট্রান্সপোর্ট ব্যবসা এবং ইতালি প্রবাসী বোনের টাকায় এসব বাড়ি ঘর নির্মাণ করা হয়েছে।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

এ জাতীয় আরো সংবাদ