রবিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:৩২ অপরাহ্ন

পুলিশি নির্যাতনে মৃত্যু, রায়হানের দেহে ১১১ আঘাতের চিহ্ন

পুলিশি নির্যাতনে মৃত্যু, রায়হানের দেহে ১১১ আঘাতের চিহ্ন

স্বদেশ ডেস্ক:

সিলেটে পুলিশ ফাঁড়িতে নির্যাতনে নিহত রায়হান উদ্দিনের (৩০) দেহে ১১১টি আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। এসব আঘাতের ৯৭টি লীলাফোল আঘাত ও ১৪টি ছিল জখমের চিহ্ন। মৃত্যুর ২-৪ ঘণ্টা আগে ওই সব আঘাত করা হয়। আঘাতগুলো লাঠি দিয়ে করা হয়েছে। আর অতিরিক্ত আঘাতের কারণে দেহের ভেতর রগ ফেটে যায়। এতে শরীরের অভ্যন্তরে হয়েছে অধিক রক্তক্ষরণ। ফরেনসিক রিপোর্টে পর্যালোচনা করে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।

সিলেট এমএজি ওসমানি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ডা. শামসুল ইসলাম গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় এসব তথ্য জানান। তিনি বলেন, ময়নাতদন্তের মূল রিপোর্ট দিতে সময় লাগবে। পিবিআইয়ের কাছে আমরা প্রাথমিকভাবে একটি রিপোর্ট দিয়েছি।’ তিনি আরও জানান, আঘাতে রায়হানের দেহের মাংস থেতলে যায়। রগ ফেটে গিয়ে আন্তঃদেহে রক্তক্ষরণ (ইন্টারনাল ব্লিডিং) হয়। আর অতিরিক্ত আঘাতে মূর্ছা যান রায়হান। আঘাত করার সময় রায়হানের স্টমাক খালি ছিল। স্টমাকে ছিল কেবল এসিডিটি লিকুইড।

নগরীর আখালিয়ার নেহারিপাড়ার মৃত রফিফুল ইসলামের ছেলে রায়হান আহমদকে ১১ অক্টোবর রাত সাড়ে ৩টার দিকে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের বন্দরবাজার ফাঁড়িতে ধরে নিয়ে মারধর করা হয়। ওই দিন ভোরে পর্যন্ত ফাঁড়িতে ছিলেন রায়হান। সকালে তাকে ওসমানী হাসাপাতালে ভর্তি করার পর তিনি মারা যান। রায়হানকে দাফনের পর গত বৃহস্পতিবার পুনঃময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করে মামলার তদন্তকারী সংস্থা পিবিআই। ওই দিন ময়নাতদন্ত শেষে আবার মরদেহ দাফন করা হয়।

এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় হত্যা মামলা করেন। এর পর এসআই আকবর হোসেন ভূঁইয়াসহ চার পুলিশ বরখাস্ত ও তিনজনকে প্রত্যাহার করা হয়। ঘটনার পর রবিবার থেকে আকবর পলাতক রয়েছেন। মামলাটি পুলিশ সদর দপ্তরের নির্দেশ পিবিআইতে স্থানান্তর হয়।

এদিকে রায়হানের হত্যার ঘটনায় এসআই আকবরসহ জড়িতদের গ্রেপ্তার ও ফাঁসির দাবিতে জোরদার হচ্ছে আন্দোলন। প্রতিদিন সিলেট নগরের বিভিন্ন স্থানে সভা-সমাবেশ, মানববন্ধন ও রাস্তা অবরোধ করেছেন বিক্ষুব্ধ জনতা।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877