শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪, ০৪:৩১ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
কোরবানির ঈদের আগে মসলার বাজারে উত্তাপ ইসরাইল সংশ্লিষ্ট জাহাজে আটক সেই পাঁচ ভারতীয় নাবিককে মুক্তি দিল ইরান শাহ আমানতে বিমানের জরুরি অবতরণ, অল্পের জন্য বাঁচলেন ১৫৮ আরোহী রাজবন্দীর নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে নয়াপল্টনে বিএনপির সমাবেশ আজ টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক দেশের যেসব অঞ্চলে রাতেই হতে পারে ঝড় এসওইগুলোকে শেয়ার বাজারে তালিকাভুক্ত করতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ হামাসের কায়রো ত্যাগ, যুদ্ধবিরতি চুক্তি মানবে না ইসরাইল! চট্টগ্রামে বিধ্বস্ত ইয়াক-১৩০ বিমান সম্পর্কে যা জানা গেছে, আগেও ঘটেছিল দুর্ঘটনা
ড্রিম গার্লের জানা-অজানা

ড্রিম গার্লের জানা-অজানা

স্বদেশ ডেস্ক:

তিনি বলিউডের ড্রিম গার্ল। বিখ্যাত ছবি ‘শোলে’র বাসন্তী! কেবল রুপালি পর্দাতেই না, ক্যামেরার পেছনে পরিচালনার দায়িত্ব নিয়েও হেমা মালিনী নিজেকে অন্যভাবে তুলে ধরেছেন। এর পরই সোজা রাজনীতির আঙিনায়। সেখানেও তিনি উজ্জ্বল। আজ তার জন্মদিন। ১৯৪৮ সালের এই দিনে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। বিশেষ এই দিনটিতে জেনে নিন হেমা মালিনীর কিছু কথা, যা হয়তো আপনি জানেন না…

ছোট্ট চরিত্র দিয়ে শুরু

ক্যারিয়ারের শুরুতে ‘তারকাসুলভ’ চেহারা ছিল না বলে তামিল নির্মাতা সিভি শ্রীধরের ছবি থেকে বাদ পড়েছিলেন হেমা। পরে সেই চরিত্রে অভিনয় করেন জয়ললিতা। ১৯৬৫ সালে ‘পা-ব বনবাসাম’ ছবির একটি ছোট্ট চরিত্রের মাধ্যমে হেমা যাত্রা শুরু করেন বলিউডে। ১৯৬৮ সালে ‘স্বপ্ন কা সওদাগর’-এ মূল চরিত্রে তাকে দেখা যায়। মাঝে অবশ্য অনেক বাধা পেরোতে হয়েছে।

সর্বাধিক উপার্জনকারী

বলিউডে তখন পুরুষ শাসন চলছে। একের পর এক অভিনেতার জয়জয়কার। সেই সময়ই শীর্ষ ১০ উপার্জনকারী অভিনয়শিল্পীর তালিকায় চলে আসেন হেমা। ১৯৭১ থেকে ১৯৭৫ সালের মধ্যে বলিউডের চতুর্থ সর্বাধিক উপার্জনকারী ছিলেন তিনি।

লেখাপড়ায় গোল্লা

পর্দায় যথেষ্ট নামডাক এবং উপার্জনে এগিয়ে থাকলেও লেখাপড়ায় খুব একটা মনোযোগী ছিলেন না হেমা। দশম শ্রেণিতে উঠেই তিনি পড়াশোনা ছেড়ে দেন। ছোটবেলা থেকেই হেমা নায়িকা হওয়ার স্বপ্ন দেখতেন, হয়তো এ কারণেই অন্য কিছুতে মনোযোগ দিতে চাননি।

বিয়ে ভাঙা

দুজনই তখন পরিচিত মুখ। উচ্চবংশের ছেলে জিতেন্দ্রকে পছন্দ ছিল হেমার মা-বাবার। কিন্তু বিয়ে ঠিক হয়ে যাওয়ার পর সেটা হেমা তা ভেঙে দেন। বহু চেষ্টা করেও পরিবার তাকে রাজি করাতে পারেনি। শোনা যায়, সঞ্জীব কুমারও হেমাকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। সে প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় সঞ্জীব মদের নেশায় ডুবে যান। নিজের আত্মজীবনীতে হেমা লিখেছেন, বলিউডের প্রয়াত অভিনেতা সঞ্জীব কুমারের সঙ্গে ভালো বন্ধুত্ব ছিল তার।

মা-বাবার অমতে ধর্মেন্দ্রকে বিয়ে

১৯৭০ সালে ‘তুম হাসিন ম্যায় জাওয়ান’ ছবির মধ্য দিয়ে প্রথমবার জুটিবদ্ধ হন ধর্মেন্দ্র-হেমা। এর পর তাদের একসঙ্গে দেখা গেছে অসংখ্য ছবিতে। সেই সূত্রে প্রেম। কিন্তু হেমার পরিবার কিছুতেই এ সম্পর্ক মেনে নেবে না। ওদিকে ধর্মেন্দ্রর সংসার আছে। সব প্রতিকূলতা পেরিয়ে ১৯৭৯ সালে বিয়ে করেন তারা। শোনা যায়, দুজনেই বিয়ের আগে ধর্মান্তরিত হয়েছিলেন।

শিল্পকলায় দারুণ আগ্রহ

শিল্পকলার প্রতি বেশ আগ্রহ রয়েছে হেমার। নাট্যবিহার কলাকেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা তিনি। বড় পর্দার পাশাপাশি হেমা ছোট পর্দায়ও নিজের অভিনয় দক্ষতার ছাপ রেখেছেন। মজার ব্যাপার হচ্ছে, অভিনয়ে সফল হলেও নাচই তার জীবনের মূলমন্ত্র। ভারতীয় সব ধরনের নাচে দক্ষ হেমার পশ্চিমা ঘরানার কিছু নাচও জানা আছে।

ড্রিম গার্ল খেতাব

রাজ কাপুরের সঙ্গে জুটি বেঁধে ‘স্বপ্ন কা সওদাগর’ ছবিতে অভিনয়ের পর সবাই হেমাকে হিন্দি চলচ্চিত্র শিল্পের ‘ড্রিম গার্ল’ বা ‘স্বপ্নের তরুণী’ নামে অভিহিত করেন। মুক্তির পর চলচ্চিত্রটি ব্যাপক সাড়া ফেলে।

সৌন্দর্যের রহস্য

হেমার সৌন্দর্যের রহস্য জানার আগ্রহ অনেকেরই। এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, তার সৌন্দর্যের একমাত্র রহস্য পানি। প্রচুর পানি পান করে হেমা ত্বকের পরিচর্যা করেন।

তুরুপের তাস

নায়কদের পাশাপাশি হেমাও ছিলেন বক্স অফিসের তুরুপের তাস। তিলে তিলে নিজের অবস্থান পোক্ত করেছেন তিনি। বাণিজ্যিকভাবে হেমা মালিনীর সাফল্য আসে আশি ও নব্বইয়ের দশকে। এই সময়ে তার অভিনীত ‘ক্রান্তি’, ‘নসীব’, ‘সত্তে পে সত্তা’, ‘এক নাহি পেহেলি’, ‘রামকালি’, ‘সীতাপুর কি গীতা’, ‘জামাই রাজা’, ‘আলিবাবা অউর ৪০ চোর’, ‘সম্রাট’, ‘আন্ধা কানুন’, ‘দরদ’, ‘কুদরত’, ‘হাম দোনো’, ‘রাজপুত’, ‘বাবু’, ‘দুর্গা’সহ বহু ছবি সুপারহিট হয়।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877