স্বদেশ ডেক্স: মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলামের খালাস চেয়ে আপিল আবেদনের ওপর যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শুরু হয়েছে। সোমবার প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের চার বিচারপতির বেঞ্চে আসামিপক্ষে প্রবীণ আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শুরু করেন।
যুক্তি উপস্থাপন কালে খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, ঘটনার প্রধান নায়ক ১৯৫ জন চিহ্নিত পাকিস্তানি যুদ্ধাপরাধীকে বাদ দিয়ে সহযোগী হিসেবে বানোয়াট সাক্ষ্য দিয়ে এটিএম আজহারুল ইসলামকে তার রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের জন্য আসামী করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে যেসব সাক্ষী দেয়া হয়েছে তা বানোয়াট। সেফ হোমে রেখে এসব সাক্ষী তৈরি করা হয়েছে।
তিনি বলেন, এই ঘটনার প্রধান নায়ক বর্বর পাকিস্তান আর্মি। তাদের মধ্য থেকে ১৯৫ জন যুদ্ধাপরাধী হিসেবে তদন্তের মাধ্যমে সনাক্ত করা হয়েছিল। তাদেরকে ক্ষমা করে দিয়ে দীর্ঘদিন পর সহযোগী আসামী হিসেবে এই আসামীর বিচার ন্যায় বিচারের পরিপন্থী।
শুনানির সময় রাষ্ট্রপক্ষে উপস্থিত রয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
গত ১৮ জুন এটিএম আজহারুল ইসলামের আপিলের ওপর শুনানি শুরু হয়। আসামি পক্ষে অ্যাডভোকেট অন রেকর্ড জয়নুল আবেদীন পেপারবুক উপস্থাপনের মধ্য দিয়ে এ শুনানি শুরু হয়েছিলো। এর আগে গত ১০ এপ্রিল শুনানির জন্য এ দিন ধার্য করেন আদালত।
২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর আজহারকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। ২০১৫ সালের ২৮ জানুয়ারি ১১৩ যুক্তিতে আজহারকে নির্দোষ দাবি করে খালাস চেয়ে আপিল করেন তার আইনজীবীরা। আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় ৯০ পৃষ্ঠারমূল আপিলসহ ২৩৪০ পৃষ্ঠার আপিল দাখিল করেন