স্বদেশ ডেক্স: ভারত-ইংল্যান্ড ম্যাচের শেষভাগ ‘অদ্ভূত’ ছিল বলে টুইটারে একটি মন্তব্য করেছেন ইংল্যান্ডের সাবেক ক্রিকেটার কেভিন পিটারসেন।
ইংলিশ ফুটবলার গ্যারি লিনেকারের একটি টুইটের প্রত্যুত্তরে এমন মন্তব্য করেছেন পিটারসেন।
ইংল্যান্ডের বিখ্যাত ফুটবলার এবং আন্তর্জাতিক ফুটবলে ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ গোলদাতা গ্যারি লিনেকার এক টুইটে লিখেছেন, ‘ম্যাচের শেষটা ছিল খুবই অদ্ভুত। শেষ কয়েক ওভারের আগ পর্যন্ত চমৎকার হচ্ছিল ম্যাচ।”
কেভিন পিটারসেন এই টুইটের নিচে মন্তব্য করেছেন, “অদ্ভুত, তাই নয় কি?”
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভারতের খেলার ধরণ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা করতে দেখা গেছে মানুষকে।
সমালোচনার বিষয় হলো – ভারত যেখানে আগ্রাসী খেলার জন্যই পরিচিতি লাভ করেছে, তারা এভাবে ম্যাচের অন্তিম মুহূর্তে গুটিয়ে গেলো কেনো?
এজবাস্টনে ইংল্যান্ড শুরুতে ব্যাট করে ৩৩৭ রান তোলে। ৩৩৮ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে ভারত প্রথম ১০ ওভারে ২৮ রান তোলে এক উইকেট হারিয়ে।
এরপর পরিস্থিতি সামাল দেন বিরাট কোহলি ও রোহিত শর্মা।
একপর্যায়ে ১৩ ওভার ৪ বলে ভারতের প্রয়োজন ছিল ১৩৮ রান।
কিন্তু শেষ পর্যন্ত শেষ ১০ ওভারে মাত্র ৭২ রান তোলে ভারত, তখনো তাদের ৬ উইকেট বাকি ছিল।
বিশ্লেষকরা কী বলছেন?
ম্যাচে ধারাভাষ্যকার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন ভারতের সাবেক অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলি, যিনি ভারতের খেলার ধরণের সমালোচনা করেন।
ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের খেলার ধরণকে কটাক্ষ করে গাঙ্গুলি বলেন, “ম্যাচ শেষে ড্রেসিং রুমে কি জিজ্ঞেস করা হবে যে আপনারা মাঠে কী করছিলেন?”
“যখন আপনার হাতে ৫ উইকেট আছে, আপনার অবশ্যই উচিৎ ৩৩৮ এর দিকে ছোটা,” বলেন ভারতের সাবেক অধিনায়ক।
নাসির হুসেন, ইংল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক, বলেন, “ভারতের ভক্তরা এই ব্যাটিং দেখতে টিকেট কাটেনি, তারা আশাহত হয়ে মাঠ ছাড়ছেন।”
কোহলি কী বলছেন?
ম্যাচশেষে ভারতের অধিনায়ক ভিরাট কোহলিকে প্রশ্ন করা হয় রান তাড়া করার জন্য প্রয়োজনীয় মারকুটে মনোভাবের অভাব ছিল কেন তার দলের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে।
ভিরাট কোহলি তখন তার দলের ব্যাটসম্যানদের পক্ষ নিয়ে কথা বলেছেন।
তিনি বলেন, “এমএস (ধোনি) চেষ্টা করেছে শেষ পর্যন্ত, বাউন্ডারি মারারও চেষ্টা করেছে, কিন্তু হচ্ছিল না।”