বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪, ১২:৪৪ অপরাহ্ন

আগাম জামিন চেয়ে ডিআইজি মিজানের আবেদন

আগাম জামিন চেয়ে ডিআইজি মিজানের আবেদন

স্বদেশ ডেক্স: পুলিশের সাময়িক বরখাস্ত ডিআইজি মিজানুর রহমান অবৈধ সম্পদের মামলায় আগাম জামিন চেয়ে হাই কোর্টে আবেদন করেছেন। দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান রোববার মিজানের আগাম জামিনের আবেদনের অনুলিপি হাতে পাওয়ার কথা সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।

তিনি জানান, বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামানের হাই কোর্ট বেঞ্চে এ আবেদনের ওপর শুনানি হতে পারে। আলোচিত এই পুলিশ কর্মকর্তা এবং তার স্ত্রীসহ স্বজনদের বিরুদ্ধে গত ২৪ জুন এই মামলা দয়ের করেন দুদকের পরিচালক মনজুর মোরশেদ।

দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা -১ এ দায়ের করা এ মামলায় তিন কোটি সাত লাখ ৫ হাজার ২১ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন এবং তিন কোটি ২৮ লাখ ৬৮ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে আসামিদের বিরুদ্ধে। ডিআইজি মিজানুর রহমানের পাশাপাশি তার স্ত্রী সোহেলিয়া আনার রত্না, ভাগ্নে পুলিশের এসআই মাহমুদুল হাসান এবং ছোট ভাই মাহবুবুর রহমানকে এ মামলায় আসামি করা হয়েছে।

এক নারীকে জোর করে বিয়ের পর নির্যাতন চালানোর অভিযোগ ওঠায় গত বছরের জানুয়ারিতে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনারের পদ থেকে সরিয়ে দেয়া হয় ডিআইজি মিজানুর রহমানকে। এর চার মাস পর তার সম্পদের অনুসন্ধানে নামে দুদক; এক হাত ঘুরে সেই অনুসন্ধানের দায়িত্ব পান কমিশনের পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছির।

সেই অনুসন্ধান চলার মধ্যেই ডিআইজি মিজান গত ৮ জুন দাবি করেন, দুদক কর্মকর্তা বাছির তার কাছ থেকে ৪০ লাখ টাকা ঘুষ নিয়েছেন। এর পক্ষে তাদের কথপোকথনের কয়েকটি অডিও ক্লিপ একটি টেলিভিশনকে দেন তিনি। ওই অডিও প্রচার হওয়ার পর দেশজুড়ে শুরু হয় আলোচনা।

এই পরিস্থিতিতে তদন্ত কমিটি গঠনের পাশাপাশি বাছিরকে সাময়িক বরখাস্ত করে দুদক। মিজানের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধানে মঞ্জুর মোরশেদের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি কমিটি করে দেওয়া হয়। মঞ্জুর মোরশেদের আবেদনে ডিআইজি মিজানের স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি এবং ব্যাংক হিসাব জব্দের আদেশ দেন ঢাকার জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ কে এম ইমরুল কায়েশ।

পরে দুদকের অনুমোদন নিয়ে মিজানের বিরুদ্ধে মামলা করেন ওই দুদক কর্মকর্তা। মিজানের দেশত্যাগে জারি করা হয় নিষেধাজ্ঞা। এদিকে মামলা হওয়ার পর রাষ্ট্রপতির অনুমোদন নিয়ে ডিআইজি মিজানকে সাময়িক বরখাস্ত করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

ডিআইজি মিজানকে গ্রেপ্তার করা হবে কি না- এই প্রশ্নে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল গত ২৬ জুন সাংবাদিকদের বলেন, ‘ওয়ারেন্ট ইস্যু হলেই… মানে সে সারেন্ডার করবে কিংবা গ্রেপ্তার হবে।’

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877