স্বদেশ ডেস্ক: টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে সিলেট ও সুনামগঞ্জে ধেয়ে আসছে বন্যা। সুরমা ও কুশিয়ারাসহ বিভিন্ন নদীতে প্রতিদিনই পানি বাড়ছে। এরইমধ্যে দুই জেলার পাঁচ উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। লালমনিরহাটে ধরলা নদীর পানি কমলেও বেড়েছে ভাঙনের ভয়াবহতা।
২৭ ও ২৮ জুনের বৃষ্টিতে অন্তত ১৩টি ঘরবাড়ি বিলীন হয়েছে। ভাঙন আতঙ্কে রয়েছে আরও অন্তত ৪০ ঘরবাড়ি। টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। গ্রামীণ রাস্তা-ঘাট তলিয়ে যাওয়ায় পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন হাজার হাজার মানুষ। পাহাড়ি ঢলে সিলেটের সুরমা, কুশিয়ারা সারি ও লোভা নদীর পানি প্রতিদিনই বাড়ছে বলেও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে। গত কয়েক দিনের টানা বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সুনামগঞ্জের সকল নদনদীর পানি বাড়ছে। এতে প্লাবিত হয়েছে জেলার চার উপজেলার নিম্নাঞ্চল। এসব এলাকায় বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। তলিয়ে গেছে এলাকার রাস্তাঘাট।
সুরমা নদীর ষোলঘর পয়েন্টে পানি বিপদসীমার ৭৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। এর আগে বিকাল ৩টায় সুরমা নদীর পানি বিপদসীমার ৮২ সেন্টিমিটারের উপরে ছিল। গত কয়েকদিনের ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে ধরলার পানি বাড়লেও ২৮ জুন থেকে পানি কমতে শুরু করেছে। এ দিকে পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে ভাঙনের তীব্রতা। পানির তীব্র ¯্রােতে ধরলায় বিলীন হয়েছে ১৩টি বসতবাড়ি। লালমনিরহাট সদর উপজেলার মহিষখোচা ইউপি চেয়ারম্যান ইদ্রিস আলী গত দুই দিনে ১৩টি বসতবাড়ি ধরলায় বিলীনের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ভাঙনকবলিতদের মাঝে এখনো ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা সম্ভব হয়নি। তারা ধরলার বাঁধে আশ্রয় নিয়ে আছে। এ ছাড়াও তার ইউনিয়নের আরও ৩০/৪০টি বসতবাড়ি ভাঙনের মুখে রয়েছে বলেও তিনি জানান। লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুল ইসলাম জানান, ধরলার ডানতীর বাঁধে হঠাৎ ভাঙন দেখা দিয়েছে। ইতিমধ্যেই ১২/১৩টি বাড়ি ভেঙে নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। তবে ভাঙন ঠেকাতে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এটি এ বছরের রেকর্ড বৃষ্টিপাত। বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় জেলা-উপজেলায় নিয়ন্ত্রণ কক্ষ চালু করা হয়েছে। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ জানান, সব উপজেলায় জরুরি কার্যক্রম নেওয়া হয়েছে এবং নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রিত রয়েছে।