স্বদেশ ডেস্ক: জেলার সখীপুরে ধর্ষণ মামলার পর প্রেমিকাকে ৬ লাখ টাকা দেনমোহরে বিয়ে করেছেন প্রেমিক জসিম উদ্দিন। বিয়ের প্রলোভনে একাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগ এনে গত ২০ জুন উপজেলার পাথারপুর গ্রামের প্রবাসী আলম মিয়ার ছেলে প্রেমিক জসিম উদ্দিনসহ সাতজনের নামে ধর্ষণ মামলা করেন ওই তরুণী। এ ঘটনায় ওইদিন রাতেই জসিম উদ্দিনের নানা বৃদ্ধ দুদু মিয়াকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠায় পুলিশ। এরপর ২১ জুন রাতে ৬ লাখ টাকা দেনমোহরে প্রেমিকাকে বিয়ে করে ঘর সংসার শুরু করেন জসিম উদ্দিন। বিয়ের মাধ্যমে নবদম্পতি তাদের সমস্যার ইতি টানলেও মামলার নিষ্পত্তি টানতে সখীপুর থানা পুলিশের ওসি (তদন্ত) ও আইনজীবীর দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন মামলার বাদী ওই তরুণী।
প্রসঙ্গত, সখীপুরের পাথারপুর গ্রামের প্রবাসী আলম মিয়ার ছেলে জসিম উদ্দিন দুই বছর আগে চাকরি নিয়ে মালদ্বীপ যান। এরই মধ্যে ওই তরুণীর সঙ্গে প্রবাসী জসিম উদ্দিনের ফেসবুকে পরিচয় হয়। এরপর থেকে দুজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। গত ২৫ মে ছুটিতে জসীম উদ্দিন মালদ্বীপ থেকে দেশে ফিরেই প্রেমিকাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করেন। একপর্যায়ে বিয়ের আয়োজন করার কথা বলে জসিম উদ্দিন বাড়ি চলে আসে এবং ওই তরুণীর সঙ্গে সকল যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। এ ঘটনায় গত ২০ জুন রাতে তার ওই তরুণী সখীপুর থানায় প্রেমিক জসিমসহ সাতজনের নামে ধর্ষণ মামলা করেন।