স্বদেশ ডেস্ক: বাজারে থাকা বিভিন্ন ব্র্যান্ডের সাতটি পাস্তুরিত দুধসহ ৭২টি খাদ্যপণ্য নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ফার্মেসি বিভাগের কয়েকজন শিক্ষক সম্প্রতি যে গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছেন, তার সঙ্গে ফামের্সি বিভাগের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই বলে জানিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ফার্মেসি বিভাগ। গতকাল শুক্রবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি জানানো হয়।
এর আগে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্যও ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগের গবেষণা ফলাফল মিথ্যা’ বলে দাবি করেন।
গবেষণা প্রতিবেদনের বিষয়ে ঢাবির ফার্মেসি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছার স্বাক্ষরিত প্রতিবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত ফলাফলের প্রতিবেদন ওই গবেষকের একান্ত নিজস্ব গবেষণালব্ধ ফল হওয়ায় এই গবেষণা ফলাফলের সঙ্গে বিভাগের কোনো সংশ্লিষ্টতা না থাকায় ফার্মেসি বিভাগ এর কোনো প্রকার দায়ভার গ্রহণ করছে না।
এতে আরও বলা হয়, বিষয়টি অত্যন্ত জাতীয় স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ও জনস্বাস্থ্যবিষয়ক বিধায় সরকার ও জনসাধারণের পক্ষ থেকে এতদসংক্রান্ত বিষয়ে ফার্মেসি বিভাগের কাছে যেকোনো ধরনের সহযোগিতা চাওয়া হলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় তথা ফার্মেসি বিভাগ জাতীয় স্বার্থে সার্বিক সহায়তা করতে বদ্ধ পরিকর।
ঢাবি শিক্ষকদের ওই প্রতিবেদনের বিষয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে প্রস্তাবিত ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেট সম্পর্কে সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী বলেন, কিছু অসাধু ব্যবসায়ী দুধের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। আপনারা জানেন গত পরশু বাংলাদেশের কিছু অসৎ ব্যবসায়ী ঢাকা ইউনিভার্সিটির একটি টেস্ট রিপোর্ট দিয়ে বলছে, মিল্কভিটায় আর্সেনিক আছে। মিল্কভিটা দুধের মধ্যে নাকি ফরমালিন আছে। এটি একটি সর্বস্ব মিথ্যা কথা।
এর আগে গত মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে প্রাণ, মিল্কভিটা, আড়ংসহ বাজারে বিক্রি হওয়া পাস্তুরিত সাতটি দুধেই মানহীন বলে জানিয়েছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োমেডিকেল রিসার্চ সেন্টারের পরিচালক এবং ফামের্সি অনুষদের ওষুধ প্রযুক্তি বিভাগের অধ্যাপক আ ব ম ফারুক।
অধ্যাপক আ ব ম ফারুক বলেন, এসব কোম্পানির দুধ পরীক্ষা করে দেখা গেছে, এতে প্রচুর পরিমাণে মাত্রাতিরিক্ত কলিফর্মের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। এ ছাড়া কিছু দুধে এন্টিবায়োটিকও পাওয়া গেছে।
এ ছাড়া ঘি, ফ্রুটস ড্রিংকস, গুঁড়া মসলাসহ ৭২টি পণ্যের ওপর গবেষণা করে প্রতিবেদন তুলে ধরেন ঢাবির ফার্মেসি বিভাগের গবেষকরা।
বিভাগের চেয়ারম্যানের প্রতিবাদের বিষয়ে জানতে বায়োমেডিকেল রিসার্চ সেন্টারের পরিচালক এবং ফামের্সি অনুষদের ওষুধ প্রযুক্তি বিভাগের অধ্যাপক আ ব ম ফারুকে একাধিকবার ফোন দেওয়া হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।