রবিবার, ০৫ মে ২০২৪, ০৮:১৯ পূর্বাহ্ন

সিনহা হত্যা : স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে আদালতে লিয়াকত

সিনহা হত্যা : স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে আদালতে লিয়াকত

স্বদেশ ডেস্ক:

সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলায় তৃতীয় দফায় তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুরের একদিন পরই ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে প্রধান আসামি পুলিশের বরখাস্তকৃত পরিদর্শক লিয়াকত আলীকে আদালতে তোলা হয়েছে।

আজ রোববার বেলা পৌনে ১২টার দিকে জবানবন্দিতে তাকে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তামান্না ফারাহর আদালতে আনা হয়েছে। মামলার তদন্তকারী সংস্থা র‌্যাবের পক্ষ থেকে সাংবাদিকদের এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।

র‌্যাব সূত্রে জানা যায়, গত শুক্রবার বরখাস্তকৃত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, পরিদর্শক লিয়াকত আলী, এএসআই নন্দ দুলাল রক্ষিতের তৃতীয়বারের মতো তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। তৃতীয় দফায় তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুরের একদিন পরই আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেওয়ার জন্য এসআই লিয়াকত আলীকে কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে আদালতে আনা হয়।

আত্মসমর্পণের পর গত ৬ আগস্ট ওসি প্রদীপ, লিয়াকত ও নন্দ দুলালসহ সাত পুলিশের সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। সাত দিনের রিমান্ড শেষে দ্বিতীয় দফায় ২৪ আগস্ট আরও সাত দিনের রিমান্ড চেয়েছিল র‌্যাব। আদালত চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছিলেন। ওই চার দিন রিমান্ড শেষ হলে তদন্তের স্বার্থে তৃতীয় দফায় আরো চার দিনের আবেদন করা হলে গত শুক্রবার আদালত তাদের তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

গত ৩১ জুলাই রাত সাড়ে ১০টার দিকে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশ পরিদর্শক লিয়াকত আলীর গুলিতে নিহত হন অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান। ঘটনার পর পুলিশ বাদী হয়ে টেকনাফ থানায় দুটি ও রামু থানায় একটি মামলা দায়ের করে। মামলায় এ পর্যন্ত সাত পুলিশ সদস্য, এপিবিএনের তিন সদস্য ও টেকনাফ পুলিশের করা মামলার তিন সাক্ষীসহ ১৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। এপিবিএনের তিন পুলিশ সদস্য পৃথকভাবে বুধ ও বৃহস্পতিবার আদালতে ১৬৪ ধারা মতে জবানমন্দি দেন। যার কারণে এ তিন জন কারাগারে রয়েছেন।

গত ৫ আগস্ট কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হত্যা মামলা করেন সিনহা মো. রাশেদ খানের বড় বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস। এতে নয়জনকে আসামি করা হয়। পরে আরও ছয়জনকে আসামি করা হয়। দুইজন ছাড়া সব আসামি গ্রেপ্তার হয়েছে।

অপরদিকে, গত শুক্রবার ওসি প্রদীপের জামিনের জন্য চট্টগ্রাম কোর্টের প্রবীণ আইনজীবী এহেছানুল হক হেনার নেতৃত্বে সাত সদস্যের একটি আইনজীবী প্রতিনিধি দল কক্সবাজার আদালতে হাজির হয়ে রিমান্ডের বিরোধিতা করেন এবং জামিনের আবেদন করেন। আদালত তাদের জামিন আবেদন নাকচ করে দেন।

এদিকে, মেজর সিনহা হত্যা মামলায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কর্তৃক গঠিত তদন্ত কমিটি সকাল ১১ টা থেকে জরুরি সভায় বসেছে কক্সবাজার হিলটপ সার্কিট হাউজের সম্মেলন কক্ষে। আগামীকাল ৩১শে আগস্ট দ্বিতীয় দফায় তদন্ত কমিটিকে দেওয়া সময় শেষ হয়ে যাচ্ছে। কমিটি এখনো মামলার অন্যতম আসামি টেকনাফ থানার বরখাস্তকৃত ওসি প্রদীপ কুমার দাশের সাক্ষাৎকার গ্রহণ করতে পারেনি। এ কারণে আগামী ৭ কর্মদিবসের জন্য সময়ের আবেদন করার কথা জানিয়েছেন তদন্ত কমিটির প্রধান চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মিজানুর রহমান জানিয়েছেন।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877