স্বদেশ ডেস্ক:
অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলায় কারাগারে থাকা আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) তিন সদস্যকে সাত দিনের রিমান্ডের জন্য র্যাব হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। এ নিয়ে সিনহার বোনের দায়ের করা মামলায় মোট ১৩ জনকে রিমান্ডে নেওয়া হলো।
যাদের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে তাদের মধ্যে চার পুলিশ সদস্যসহ সাতজনকে রিমান্ড শেষে আদালতে সোপর্দ করা হলেও ওসি প্রদীপ, লিয়াকত, নন্দদুলালের রিমান্ডের পঞ্চম দিন চলছে।
আজ শনিবার বেলা ১১টা ৪০ মিনিটের দিকে এপিবিএনের তিন সদস্যকে কারাগার থেকে র্যাবের একটি দল হেফাজতে নেন। এরপর তাদের কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ওখানে তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে নেওয়া হয় র্যাব ১৫ এর কক্সবাজার সদর দপ্তরে।
রিমান্ডে নেওয়া তিনজন হলেন- এপিবিএনের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) শাহজাহান, কনস্টেবল রাজীব ও আব্দুল্লাহ। ঘটনার দিন ৩১ জুলাই এ তিন জনই এপিবিএনের চেকপোস্টে দায়িত্ব পালন করেন।
গত ১৭ আগস্ট জিজ্ঞাসাবাদের জন্য র্যাবের একটি দল এই তিনজনকে হেফাজতে নেন। এরপর ১৮ আগস্ট দুপুর সাড়ে ১২টায় তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে তোলা হয়। ওইদিনই র্যাবের তদন্তকারী কর্মকর্তা ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানালে কক্সবাজারস্থ জৈষ্ঠ্য বিচারিক হাকিম (টেকনাফ-৩) তামান্না ফারাহ’র আদালত তাদের সাতদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এএসপি খায়রুল ইসলাম জানান, হাইকোর্টের নিদের্শনা মতে রিমান্ডে নেওয়ার সময় এবং রিমান্ড শেষে স্বাস্থ্য পরীক্ষার নিয়ম রয়েছে। নিয়ম মতে তা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে রিমান্ডে পাওয়া তথ্য যাচাই-বাছাই করার কাজ চলছে।
এ ছাড়া ঘটনার দিন যে অস্ত্রটি ব্যবহার করে সিনহাকে গুলি করা হয়েছে তা তদন্ত কর্মকর্তা (তাকে) প্রদান করতে আদালত আদেশ দিয়েছেন। শনিবার অস্ত্রটি তার হেফাজতে চলে আসে বলেও জানান মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এএসপি খায়রুল ইসলাম।
প্রসঙ্গত, গত ৩১ জুলাই রাতে টেকনাফের মারিশবুনিয়া পাহাড়ে ভিডিওচিত্র ধারণ করে মেরিন ড্রাইভ দিয়ে কক্সবাজারের হিমছড়ি এলাকার নীলিমা রিসোর্টে ফেরার পথে শামলাপুর তল্লাশি চৌকিতে গুলিতে নিহত হন মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ খান।