স্বদেশ ডেস্ক: ইউরোপজুড়ে প্রচণ্ড দাবদাহ শুরু হয়েছে। বেশ কয়েকটি দেশে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সতর্কতা ‘অরেঞ্জ অ্যালার্ট’ জারি করা হয়েছে। কয়েকটি স্থানে যে অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে বেশি তাপমাত্রা বিরাজ করছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, আগামী কয়েক দিনে তাপামাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের উপরে উঠতে পারে। খবর বিবিসি।
বিবিসি জানিয়েছে, জার্মানি, পোল্যান্ড ও চেক রিপাবলিকান জুন মাসে তাদের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে। পরিবেশবিদরা বলছেন, উত্তর আমেরিকা থেকে উষ্ণ হাওয়া এ তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কয়েকটি দেশের কর্তৃপক্ষ সতর্ক করেছে যে আগামী তিন দিন তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে। তথ্য-উপাত্ত বলছে, বুধবার ইতালির তুরিন শহরে দুপুরে ৩৭ ডিগ্রি সে., স্পেনের জারাগোজে ৩৭ ডিগ্রি সে. ও দক্ষিণ ফ্রান্সে ৩৮ ডিগ্রি সে. তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। স্পেনের পূর্বাঞ্চলের ১১টি প্রদেশের তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সে.-এর বেশি ছিল।
আগামী শুক্রবার স্পেনের কয়েকটি এলাকায় ৪৫ ডিগ্রি সে. তাপমাত্র উঠতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। স্পেনের কর্তৃপক্ষ উচ্চ তাপমাত্রার কারণে কী ধরনের ঝুঁকি হতে পারে, এসব সতর্কতা নাগরিকদের মাঝে প্রচার করছে। ইতালিতেও ৪০ ডিগ্রি সে.-এর বেশি তাপমাত্রা উঠতে পারে। বিশেষ করে দেশটির মধ্য ও উত্তরাঞ্চলে তাপমাত্রা বাড়বে। রাজধানী রোমসহ বেশ কয়েকটি শহরে উচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। গত বুধবার জার্মানির কোচিনে ৩৮ ডিগ্রি সে. তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে, যা জুন মাসের সর্বোচ্চ। পাশাপাশি পোল্যান্ড, চেক প্রজাতন্ত্রেও তাপমাত্রা অতীতের রেকর্ড অতিক্রম করেছে। শুধু তা-ই নয়, অস্ট্রিয়ার কিছু এলাকায় ৩০ ডিগ্রি সে. ছিল, যা অতীতের যে কোনো সময়ের তুলনায় সর্বোচ্চ।
এদিকে বৃহস্পতিবার সকালে ৭২ বছর বয়সী গৃহহীন এক লোক রোমানিয়ার একটি স্টেশনে মারা গেছেন। কর্তৃপক্ষ বলছে গরমের কারণে তার মৃত্যু হতে পারে। অন্যদিকে ফ্রান্সে ২০০৩ সালে দাবদাহের কারণে ১৫ হাজার লোক মৃত্যুবরণ করেছিল। সেটি আমলে নিয়ে দেশটি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সতর্কতা ‘অরেঞ্জ অ্যালার্ট’ জারি করেছে। ফ্রান্সে কিছু স্কুল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে, কিছু পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে।