শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:১২ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
ফিলিস্তিন সমস্যার ন্যায্য ও স্থায়ী সমাধান চায় চীন বিশ্বকাপে পাকিস্তানের ১৫ সদস্যের দলে যাদের রাখলেন ওয়াকার দীর্ঘ বিরতি শেষে বলিউডে ফিরছেন প্রীতি জিনতা রোহিঙ্গা ইস্যুতে একসাথে কাজ করবে ঢাকা-ব্যাংকক : পররাষ্ট্রমন্ত্রী গরমে পোষা প্রাণীর যত্ন দেশের উন্নয়নে পাকিস্তান প্রশংসা করে, অথচ বিরোধী দল দেখে না : কাদের সাহারা মরুভূমির গরমের মতো অনুভূত হচ্ছে : সরকারকে দায়ী করে রিজভী থাইল্যান্ড সফরকে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রে মাইলফলক বললেন প্রধানমন্ত্রী চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ায় ৭৩ জনকে বহিষ্কার করলো বিএনপি
পানিতে ভাসছে পাবনার ৩ শতাধিক গ্রাম

পানিতে ভাসছে পাবনার ৩ শতাধিক গ্রাম

স্বদেশ ডেস্ক:

পাবনায় বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। যমুনা নদীর পানি ২৪ ঘণ্টায় সামান্য কমলেও এখনও বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

যমুনা নদীর পানিতে পাবনার বেড়া, ফরিদপুর ও ভাঙ্গুড়া উপজেলার ১৫ ইউনিয়নের ৩ শতাধিক গ্রাম পানিতে ভাসছে। পানিতে ডুবে গেছে এ সব এলাকার হাটবাজার, রাস্তাঘাট, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ঘরবাড়ি। তলিয়ে গেছে হাজার হাজার বিঘা জমির ফসল। ভেসে গেছে অসংখ্য পুকুরের মাছ।

৩ উপজেলায় অন্তত প্রায় ৭০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। বেড়ার দুর্গত এলাকায় বিশুদ্ধ খাবার পানি ও গোখাদ্যের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে।

এ দিকে পদ্মা নদীর পানিও বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হলেও জেলার ঈশ্বরদী উপজেলার সাঁড়া ও লক্ষ্মীকুন্ডা ইউনিয়নের বিস্তির্ণ এলাকায় বন্যা দেখা দিয়েছে।

পাউবোর পাবনাস্থ উত্তরাঞ্চলীয় পরিমাপ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী রেজাউল করিম জানান, গত ২০ জুলাই থেকে যমুনা নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করে। গত ২৪ ঘণ্টায় সামান্য কমলেও বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় বেড়া উপজেলার নগরবাড়ী পয়েন্টে যমুনা নদীর পানি বিপৎসীমার ৬৪ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।

বেড়া উপজেলার বানভাসি মানুষ ও জনপ্রতিনিধিরা জানান, বেড়া উপজেলার বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধের বাইরে যমুনা নদী তীরবর্তী ৬টি ইউনিয়ন পুরনো ভারেঙ্গা, নতুন ভারেঙ্গা, নাকালিয়া, রূপপুর, ঢালারচর ও মাসুমদিয়া ইউনিয়ন বন্যাকবলিত হয়েছে। এ সব এলাকার কমপক্ষে ৪০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে রয়েছেন। কিন্তু বন্যার্তরা এখনও কোনো ত্রাণসামগ্রী পাননি।

ফরিদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আহম্মদ আলী জানান, তার উজেলার বিএলবাড়ি এবং পুঙ্গলী ইউনিয়ন পুরোপুরি পানির নিচে এবং ফরিদপুর, বি.নগর, ডেমরা ও হাদল ইউনিয়নের আংশিক পানির নিচে। এ সব এলাকার বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধ বাদে সব রাস্তা-ঘাট, স্কুল-কলেজ, মসজিদ-মাদ্রাসা, হাট-বাজার পানিতে তলিয়ে গেছে। হাজার হাজার বিঘা জমির ফসল পানির নিচে। কমপক্ষে ৩০ হাজার মানুষ পানিবন্দি রয়েছেন। বন্যার জন্য এখন পর্যন্ত কোনো ত্রাণসামগ্রী পাওয়া যায়নি।

ভাঙ্গুরা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম বলেন, এ উপজেলার দিলপাশার ও খানমরিচ ইউনিয়ন পুরোটাই পানির নিচে এবং অষ্টমনিষা ইউনিয়নের আংশিক পানিতে ডুবে গেছে। কোনো ত্রাণসামগ্রী বরাদ্দ পাওয়া যায়নি।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877