স্বদেশ ডেস্ক: চলতি হজ মৌসুমের ৩৬৫টি হজ ফ্লাইট পরিচালনা করবে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস। এ জন্য নিজেদের বহরে থাকা চারটি বোয়িং ৭৭৭-৩০০ ইআর উড়োজাহাজকে প্রস্তুত রেখেছে তারা। তাই অন্যান্য রুটে ফ্লাইট শিডিউল ঠিক রাখতে দুটি এয়ারবাস আনতে যাচ্ছে বিমান। আগামী তিন মাস এই দুটি উড়োজাহাজ বিমানের যাত্রী বহন করবে।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস সূত্রে জানা গেছে, ইন্দোনেশিয়ার পিটি ইন্দোনেশিয়া এয়ারএশিয়া এয়ারলাইনস থেকে এয়ারবাস এ৩০০-৮০০ মডেলের উড়োজাহাজ দুটি ভাড়ায় আনা হচ্ছে। প্রতিটি উড়োজাহাজের আসনসংখ্যা ৩৭৫। আগামী ১ জুলাই থেকে ২০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এই দুটি উড়োজাহাজ বিমান বহরে থাকবে।
বিমানের উপমহাব্যবস্থাপক তাহেরা খন্দকার প্রথম আলোকে বলেন, হজ মৌসুমে শিডিউল ফ্লাইটে এই দুটি এয়ারবাস দিয়ে হজযাত্রী বহন করা হবে। তাই আশা করা যায়, হজ মৌসুমে বিমানের ফ্লাইটের সময়সূচি বাধাগ্রস্ত হবে না।
এ বছর বিমানের ফ্লাইটে সৌদি আরব যাবেন ৬৩ হাজার ৫৯৯ হজযাত্রী। এঁদের মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় যাবেন ৭ হাজার ১৯৮ ব্যালটি, বাকি ৫৬ হাজার ৪০১ নন-ব্যালটি হজযাত্রী যাবেন বেসরকারি ব্যবস্থাপনায়। ঢাকা-জেদ্দা-ঢাকা রুটে চলাচলকারী বিমানের নিয়মিত শিডিউল ফ্লাইটেও হজযাত্রীরা জেদ্দায় যাবেন। বিমানের প্রতিটি ফ্লাইট ঢাকা থেকে আনুমানিক ৭ ঘণ্টায় জেদ্দায় পৌঁছাবে।
দুই মাসব্যাপী বিমানের হজযাত্রী বহনে ৩৬৫টি ফ্লাইটের মধ্যে ৩০৪ ডেডিকেটেড এবং ৬১টি শিডিউল ফ্লাইট রয়েছে। চট্টগ্রাম থেকে ১৯টি এবং সিলেট থেকে এ বছর ৩টি হজ ফ্লাইট পরিচালনা করা হবে। ৪ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত হজ-পূর্ব মোট ১৮৯টি ফ্লাইট পরিচালনা করা হবে (ডেডিকেটেড-১৫৭ এবং শিডিউল ৩২)। হজ-পরবর্তী ১৪৭টি ফ্লাইট চলবে ১৭ আগস্ট থেকে ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত (ডেডিকেটেড-১৪৭ এবং শিডিউল ২৯)। এর মধ্যে বাংলাদেশ থেকে মদিনা ১৮টি ও মদিনা থেকে বাংলাদেশে ১৫টি সরাসরি ফ্লাইট পরিচালনা করা হবে।
এদিকে ২৮ জুন ঢাকায় এসে পৌঁছাবে বিমানের লিজে আনা তৃতীয় বোয়িং ৭৩৭-৮০০ মডেলের উড়োজাহাজ। উড়োজাহাজটি কুয়েতের উড়োজাহাজ লিজদাতা প্রতিষ্ঠান আলাফকো থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। একই প্রতিষ্ঠান থেকে গত ১৫ মে আরও একটি বোয়িং ৭৩৭-৮০০ উড়োজাহাজ আনে বিমান। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্র থেকে আগামী ২৫ জুলাই বিমানের তৃতীয় বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনার ‘গাঙচিল’ ঢাকায় এসে পৌঁছাবে। এর দুই মাস পর আগামী সেপ্টেম্বরে বিমানের চতুর্থ ড্রিমলাইনারটি এ দেশে আসতে পারে।