স্বদেশ ডেস্ক:
গণপ্রতিনিধিত্ব (আরপিও) আদেশে রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য ২০২০ সালের মধ্যে সর্বস্তরে ৩৩ শতাংশ নারীর অংশগ্রহণের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। ২০০৮ সালে আরপিও আইনের সংশোধনীতে এই শর্ত পূরণের জন্য সময়সীমা বেঁধে দেয়া হয় ২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বর। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো রাজনৈতিক দলই শর্ত পূরণ করতে পারেনি। এহেন অবস্থায় নির্বাচন কমিশন ‘রাজনৈতিক দলসমূহের নিবন্ধন আইন ২০২০’ শিরোনামে আবারো নতুন আইনের খসড়া তৈরি করেছে।
প্রস্তাবিত আইনে বলা হয়েছে, ‘কেন্দ্রীয় কমিটিসহ সকল পর্যায়ের কমিটি ন্যূনপক্ষে ৩৩ ভাগ পদ মহিলা সদস্যদের জন্য সংরক্ষণের লক্ষ্যমাত্রা ধার্য থাকিবে।’
বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটি বিশ্লেষণে দেখা যায়, স্থায়ী কমিটি এবং নির্বাহী কমিটি মিলিয়ে মোট সদস্য সংখ্যা ৬৪০ জন। তাদের মধ্যে নারী রয়েছেন ৭১ জন। সে হিসেবে বিএনপিতে নারী নেতৃত্ব রয়েছে ১১.০৯ শতাংশ। স্থায়ী কমিটির ১৯ জন সদস্যের মধ্যে চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ছাড়া একমাত্র নারী সদস্য সেলিমা রহমান। ৮২ জনের উপদেষ্টামণ্ডলীতে ছয়জন নারী সদস্য রয়েছেন। সাংগঠনিক, সহসাংগঠনিক সম্পাদক এবং সম্পাদকমণ্ডলী, সহসম্পাদকমণ্ডলীর সংখ্যা ২০৯ জন। এই পদগুলোতে নারী রয়েছেন ২০ জন। নির্বাহী কমিটির সদস্যসংখ্যা ২৯৪ হলেও নারী রয়েছেন মাত্র ৪৩ জন।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, দলের ভেতরে নারী নেতৃত্ব কিভাবে ৩৩ শতাংশে উন্নীত করা যায় সে ব্যাপারে চিন্তাভাবনা করছে বিএনপির হাইকমান্ড। জেলা, উপজেলা ও থানা পর্যায়ের কমিটিতে কতজন নারী নেতৃত্ব রয়েছেন সে বিষয়ে খোঁজ নেয়া হচ্ছে। ২০১৪ সাল থেকে যেসব নারী উপজেলা চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান, কাউন্সিলর নির্বাচন করেছেন তাদের তালিকাও করতে বলা হয়েছে।
রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন আইন অনুযায়ী সব কমিটিতে এক-তৃতীয়াংশ নারী সদস্য থাকার বাধ্যবাধকতার বিষয়ে জানতে চাইলে দলের এক নীতিনির্ধারক বলেন, আমাদের উদ্যোগ তো দৃশ্যমান হচ্ছে। যত দ্রুত সম্ভব আমরা প্রক্রিয়াটি শেষ করব।